জুমবাংলা ডেস্ক : নাটোরের নলডাঙ্গা বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে। এক সপ্তাহ আগে কেজিপ্রতি ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হওয়া পেঁয়াজ এখন ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
ভারত পেঁয়াজ রফতানির ঘোষণা দেয়ার পরপরই বাজারে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। শনিবার (২৯ জানুয়ারি) নলডাঙ্গা হাটে প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, শনিবার নলডাঙ্গা হাটে পেঁয়াজ পাইকারি প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা আর খুচরা ৩৫ থেকে ৪০ টাকা দরে। গত মঙ্গলবার হাটে প্রতিকেজি পেঁয়াজ খুচরা বিক্রি হয়েছিল ৭০-৮০ টাকায়।
পেঁয়াজ বিক্রেতারা জানান, ভারত থেকে আমদানির সিদ্ধান্তে পেঁয়াজের দাম সর্বোচ্চ ১৫ থেকে ২০ টাকা কমতে পারে বলে ধারণা ছিল তাদের। কিন্তু দাম এতটা পড়ে যাবে ভাবেননি তারা।
ভারতের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে পেঁয়াজের দাম কমছে : ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের আদেশ প্রত্যাহার করে নেয়ায় বাজারে পণ্যটির দাম এখন কমতির দিকে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীতে পেঁয়াজের দাম কমেছে কেজি প্রতি ১৫ থেকে ২০ টাকা। পাশাপাশি কমেছে রসুনের দামও।
শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও মালিবাগসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে দামের এ তথ্য জানা গেছে।
বাজারে এখন আমদানি করা (চায়না ও পাকিস্তানি) পেঁয়াজের কেজি ৭০ থেকে ৭৫ টাকা এবং দেশি মুড়িকাটা পেঁয়াজ ৮০ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে মিয়ানমারের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকায়।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রায় ৫ মাস ধরে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ রেখেছিল। এতে বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ কমে গেছে। ফলে দাম ২৫০ টাকার ওপরে ওঠে গেছে। এখন বাজারে নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ছে এবং ভারত রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। এই দুই কারণে দাম কমছে।
একই সঙ্গে কমছে রসুনের দামও। আমদানি করা চীনা রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৭০-১৮০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ২০০-২১০ টাকা কেজি। অর্থাৎ দাম কমেছে ৩০ টাকার মত। আর দেশি রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৫০-১৬০ টাকা। এ হিসাবে সপ্তাহের ব্যবধানে দেশি রসুনের দাম কেজিতে কমেছে ৭০ টাকা।
এ বিষয়ে কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী ইদ্রিস আলী বলেন, ভারত রপ্তানি বন্ধ করায় বাংলাদেশে লাফিয়ে লাফিয়ে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়। এখন ভারত রপ্তানির বাজার চালু করায় দাম কমেছে। আর দেশি নতুন কাঁচা রসুনের সরবরাহ বাড়ায় এর দাম কমেছে।
তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে আমদানি বন্ধ থাকায় চীনা রসুনের দাম ১০০ টাকা থেকে বেড়ে ২০০ টাকা হয়েছিল। এখন নতুন দেশি রসুন আসায় দাম কমেছে।
ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের আদেশ তুলে নেয়ার ঘোষণা দেয়ার পরপরই শ্যামবাজারে পেঁয়াজের দাম কমে যায় বলে জানান মালিবাগের ব্যবসায়ী আব্দুল হালিম। তিনি বলেন, ভারত থেকে রপ্তানি শুরু হলে পেঁয়াজের দাম আরও কমবে।
তবে কারওয়ান বাজারে পেঁয়াজ-রসুন যে দামে বিক্রি হচ্ছে পাড়া-মহল্লার বাজার বা খুচরা দোকানে তার চেয়ে ৫ থেকে ১০ টাকা বেশি দাম বিক্রি হতে দেখা গেছে। এছাড়া শীত মৌসুমের ২/৪ টি ছাড়া প্রায় সবজির দাম রয়েছে স্বাভাবিক।
গত সপ্তাহে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া করলার দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকা। কাঁচা মরিচ ৫৫ থেকে ৬৫ টাকা, লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা পিস, যা গত সপ্তাহে ছিল ৬০ থেকে ৮০ টাকা। বরবটির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০ থেকে ৯০ টাকা।
এছাড়া শসা ২০ থেকে ৩০ টাকা, পেঁপে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। দেশি পাকা টমেটো ৩০ থেকে ৪০ টাকা, শিম ৩০ থেকে ৪০ টাকা, ফুলকপি পিস বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, গাজর ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।