জুমবাংলা ডেস্ক : জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের ওপর শুনানির সময় নির্ধারিত ছিল আজ রবিবার সকালে। শুনানির জন্য তালিকার এক নম্বরে ছিল এটি। কিন্তু পরে তা পিছিয়ে বেলা ২টায় শুনানির জন্য ধার্য করা হয়।
বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই সময় নির্ধারণ করেন।
জানা গেছে, রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত শুনানির সময় পুনর্নির্ধারণ করেন।
এ ব্যাপারে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন আদালতকে বলেন, খালেদা জিয়ার এই জামিন আবেদনের ওপরে শুনানি করবেন অ্যাটর্নি জেনারেল। তিনি আপিল বিভাগে অন্য একটি মামলার শুনানিতে আছেন। এ কারণে শুনানির জন্য তিনি সময় চান। আদালত এর পরিপ্রেক্ষিতে বেলা ২টায় শুনানি শুনবেন বলে জানান।
এ সময় বিএনপি চেয়ারপার্সনের পক্ষের আইনজীবীরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে আছেন খালেদা জিয়া। অসুস্থ থাকায় বর্তমানে কারা তত্ত্বাবধানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
এদিকে, খালেদা জিয়ার জামিন বিষয়ে উচ্চ আদালতের আদেশ দেখে পরবর্তী সময়ে বৈঠক ডেকে কর্মপন্থা ঠিক করবে বিএনপি। গতকাল শনিবার বিকাল ৪টা থেকে চার ঘণ্টা চলা গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির বৈঠক মুলতবি করার আগে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার বিষয়বস্তু পর্যালোচনা করেন স্থায়ী কমিটির নেতারা। নেতাদের ভাষ্য, আদালত স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারলে গুরুতর অসুস্থ খালেদা জিয়াকে মানবিক দিক বিবেচনায় আদালত তাকে জামিন দেবেন।
যদি জামিন না দেন, তা হলে ধরে নিতে হবে আদালত স্বাধীন নয়। বৈঠকের পর গণমাধ্যমকে কোনো কথা বলেননি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। লন্ডন থেকে স্কাইপে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, গয়েশ্বরচন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও খালেদা জিয়ার জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ গণমাধ্যমকে বলেন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক একটি মিথ্যা মামলায় কারাবন্দি করে রাখা হয়েছে। অতীতে অনেক রাজনীতিবিদ অসুস্থতাজনিত কারণে জামিন পেয়েছেন।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, দেরিতে হলেও খালেদা জিয়া সুবিচার পাবেন। দেশের মানুষেরও প্রত্যাশা, জামিন নিয়ে তিনি উন্নত চিকিৎসা নেওয়ার সুযোগ পাবেন।
অপর আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, খালেদা জিয়া জামিন পাবেন বলে তারা আশাবাদী। একজন বয়স্ক নারী হিসেবে মানবিক কারণে দেশের মানুষও খালেদা জিয়ার জামিন চায়।
তবে দুদকের আইনজীবী মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, শুনানিতে তারা কোনো ছাড়া দেবেন না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।