জুমবাংলা ডেস্ক : নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ঘরের দরজায় তালাবদ্ধ করে স্বামী বাইরে যাওয়ার পরই গার্মেন্টসকর্মী স্ত্রীসহ ২০টি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এ সময় ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট ৪০ মিনিট চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
শুক্রবার রাতে ফতুল্লার মুসলিমনগর এলাকার ইউনুছ সর্দারের টিনের দু’তলা বাড়িতে রহস্যজনক এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহত গার্মেন্টসকর্মী সম্পা আক্তার (২০) ওই বাড়ির নিচ তলার ভাড়াটিয়া সুমন মিয়ার স্ত্রী। তাদের মধ্যে সম্পা আক্তার মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজং থানার পলমা গ্রামের সোহরাব মিয়ার মেয়ে এবং সুমন জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ থানার ফৈটামারী গ্রামের বাসিন্দা। এক বছর পূর্বে তাদের বিয়ে হয়েছে। বিয়ের পর থেকে তারা ফতুল্লার এ বাড়িতে বসবাস করে গার্মেন্টসে কাজ করত।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে ফতুল্লার শাসনগাওস্থ বিসিক ফায়ার ষ্টেশনের সিনিয়র ষ্টেশন অফিসার মো. কাজল মিয়া জানান, ইউনুছ মিয়ার টিনের দু’তলা বাড়ির নিচ তলায় ১০টি ও উপরের তলায় ১০টি রুম রয়েছে।
শুক্রবার মাগরিবের নামাজের সময় ওই বাড়ির নিচ তলার ভাড়াটিয়া সুমন মিয়া তার গার্মেন্টসকর্মী স্ত্রী সম্পা আক্তারকে (২০) ঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় রেখে বাহির থেকে দরজায় তালা দিয়ে মাগরিবের নামাজ পড়তে মসজিদে যান। এর কিছুক্ষণ পরই সুমনের ঘর থেকে আগুন ধরে পুরো বাড়ি ছড়িয়ে পড়ে।
এ সময় সম্পা ঘরেই দগ্ধ হয়ে মারা যায়। পরে তার লাশ উদ্ধার করে শহরের জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, খবর পেয়ে আমাদের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে ৪০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছি। আগুনে পুড়ে প্রায় ২০ লাখ টাকার মতো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ওই বাড়িতে গ্যাসের চুলা নেই। আর কেউ ধূমপানও করে না। তবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয়ে তদন্ত চলছে। সূত্র : যুগান্তর
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।