জুমবাংলা ডেস্ক : আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারের পর কেঁদেই ফেললেন জামালপুরের সরিষাবাড়ি পৌরসভার মেয়র রুকনুজ্জামান। শুক্রবার (০১ মে) দুপুরে দলীয় কার্যালয়ে উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের যৌথ সভায় সরিষাবাড়ি পৌর আওয়ামী লীগ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়।
সভায় তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান উপস্থিত ছিলেন।
বহিষ্কারের পর তিনি বলেন, আমাকে যারা অন্যায়ভাবে গৃহবন্দী করেছে, আমাকে যারা অন্যায়ভাবে বিতাড়িত করছে তাদের বিচার আল্লাহ করবে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছানোয়ার হোসেন বাদশার সভাপতিত্বে সভায় মেয়র রুকনুজ্জামানের বিরুদ্ধে দলীয় সিদ্ধান্ত না মেনে তার খেয়ালখুশি মতো কাজকর্ম, করোনায় সরকারি ত্রাণ বিতরণে অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতায় তাকে পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতির পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
দলীয় পদ থেকে বহিষ্কারের পর পরই সরিষাবাড়ি পৌরসভার ১২ জন কাউন্সিলর সংবাদ সম্মেলন করে মেয়র রুকনুজ্জামানের বিরুদ্ধে অনাস্থা দেন। কাউন্সিলরদের অভিযোগ, মেয়র ত্রাণ বিতরণে অনিয়ম, এডিপি, কবরস্থান, বাস টার্মিনাল বরাদ্দের টাকা আত্মসাৎ, নিয়োগ বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, অস্ত্রের মহড়া, ৩ মাস ধরে কাউন্সিলর ও পৌর কর্মচারীদের বেতন-ভাতা না দেয়া দিয়ে হয়রানী করছেন। তারা এই অভিযোগ এনে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর অনাস্থা প্রস্তাব প্রেরণ করেন।
তবে মেয়র তার বিরুদ্ধে দল এবং কাউন্সিলরদের সব অভিযোগ মিথ্যা ও ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।