আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসি বলেছেন, আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোতে তার দেশ সব সময় সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছে এবং বহু মেরুকেন্দ্রীকরণের ওপর ভিত্তি করে তার দেশের পররাষ্ট্রনীতি গড়ে উঠেছে। একইসঙ্গে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় ইরান সব সময় গঠনমূলক ভূমিকা রাখার চেষ্টা করেছে। খবর পার্সটুডে’র।
তাজিকিস্তানের রাজধানী দোশাম্বেতে শুক্রবার সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার ২১তম শীর্ষ সম্মেলনে ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি একথা বলেন। শুক্রবারই ইরান ইউরেশিয়ান এই রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা সংস্থার পূর্ণ সদস্যপদ লাভ করে।
রায়িসি বলেন, বিশ্ব এমন একটি যুগে প্রবেশ করেছে যেখানে একটি দেশের পক্ষ থেকে একচ্ছত্র আধিপত্য প্রতিষ্ঠার দিন শেষ হয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা এখন স্বাধীনচেতা দেশগুলোর পক্ষে চলে যাচ্ছে এবং বহু মেরুকেন্দ্রীকতার দিকে ধাবিত হচ্ছে। বর্তমানে সন্ত্রাস, উগ্রবাদ ও বিচ্ছিন্নতাবাদ আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিয়েছে।
ইরানের প্রেসিডেন্ট তার দেশকে পূর্ণ সদস্যপদ দেয়ার জন্য সাংহাই সহযোগিতা সংস্থাভুক্ত দেশগুলোকে ধন্যবাদ জানান। তিনি আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা আরোপের নেশার কঠোর নিন্দা জানিয়ে বলেন, পশ্চিমা দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞা এখন আর একটি বা দু’টি দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকছে না বরং স্বাধীনচেতা প্রতিটি দেশকে এর মুখোমুখি হতে হচ্ছে। সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার বেশিরভাগ দেশ মার্কিন নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
১৯৯৬ সালের ২ জুন চীন, কাজাখস্তান, কিরঘিজিস্তান, রাশিয়া এবং তাজিকিস্তানকে নিয়ে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা গঠিত হয়। পরবর্তীতে উজবেকস্তিান, পাকিস্তান ও ভারতকে এই সংস্থার অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সর্বশেষ ইরানের নয়া প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রায়িসির প্রথম বিদেশ সফরে দোশাম্বেতে তার দেশকে এই গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থার পূর্ণাঙ্গ সদস্যপদ দেয়া হলো।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।