জুমবাংলা ডেস্ক: বিয়ে করেছেন এক বছর আগে। এর পর থেকে এক খালার মাধ্যমে প্রভাবিত হয়ে আবারও বিয়ে করতে বসেন মিজানুর রহমান (২৬)। এরপর পুলিশি বাধায় সেই বিয়ে পণ্ড হয়ে যায়। তখন কথা দেন তিনি আর বিয়ে করবেন না। কিন্তু পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে রাতের আঁধারে আবারও বিয়ের পিঁড়িতে বসেন ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরীর সঙ্গে। তবে সেই বিয়ের পিঁড়ি থেকে সোজা কারাগারে জেতে হয়েছে মিজানুরকে।
এমন ঘটনা ঘটেছে নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর উপজেলার দোনইল গ্রামে। অভিযুক্ত মিজানুর রহমান উপজেলার তাজপুর গ্রামের সিদ্দিক দেওয়ানের ছেলে।
মিজানুর এক বছর আগে বিয়ে করেন। এক খালার মাধ্যমে উপজেলার বৈকুণ্ঠপুর গ্রামে ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরীর সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয় তার। গত সোমবার মেয়ের বাড়িতে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। বাল্যবিয়ের খবর পেয়ে ‘বেরসিক’ থানা পুলিশ বাধা প্রদান করে বিয়ে বন্ধ করে দেয়। এ সময় মিজানুর কথা দেন, তিনি এ বিয়ে করবেন না। পুলিশ চলে যাওয়ার পর সোমবার রাতে দোনইল গ্রামে বরের এক আত্মীয়ের বাড়িতে আবারও বিয়ের আয়োজন করে তারা।
রাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলপনা ইয়াসমিন ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম আবারও বাল্যবিয়ের বিষয়টি জানতে পারে। পরে তারা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে সঙ্গে নিয়ে রাত ২টার দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। আদালতে বর মিজানুর রহমানকে এক বছরের জেল ও ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। অনাদায়ে আরো তিন মাসের জেল দেন আদালত।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার সকালে বর মিজানুর রহমানকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।