জুমবাংলা ডেস্ক : প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশন চালিয়ে যাচ্ছে এক তরুণী। গত ৩দিন ধরে সে টানা অনশনে রয়েছে। বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এমনকি আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছে এবং সে যদি মারা যায় তবে সে জন্যে ছেলেটির অভিভাবকরা দায়ী থাকবে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সমাজপতিদের কাছে। এদিকে তরুণী তার প্রেমিকের বাড়িতে আসার পর থেকে লাপাত্তা রয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে মাস্টার্স করা প্রেমিক যুবক রাশেদ মন্ডল(৩০)। ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। রাশেদ মন্ডল চরপাড়া গ্রামের মৃত হিজাবদি মন্ডলের ছেলে। সে একটি এনজিওতে চাকুরী করলেও বর্তমানে কোন চাকুরী করে না।
স্থানীয়রা জানায়, পাশ্ববর্তী গোলকনগর গ্রামের ঐ তরুনী গত রবিবার চরপাড়া গ্রামে ছেলের বাড়িতে চলে আসে। এরপর মেয়েটি তাদের জানিয়েছে, গ্রামের রাশেদ মন্ডলের সাথে ৩ বছর ধরে প্রেম-ভালবাসার সম্পর্ক চলে আসছে। তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হলেও রাশেদ পরে বিয়েতে রাজী না হওয়ায় রবিবার প্রেমিক রাশেদের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে বিয়ের দাবি করলে পরিবারের সদস্যরা তাকে মারপিট করে। রাশেদ এখন বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় অনশনে বসেছে। বিয়ে না করলে সে আত্মহত্যা করবে বলেও জানায়।
মেয়েটি সাংবাদিকদের কাছে জানিয়েছে, ছেলের বাড়িতে আসার পরপরই তার মোবাইল কেড়ে নেয়া হয়। সেই মোবাইলে ছেলের সাথে প্রেম সম্পর্কিত নানা ছবি আর ভিডিও রয়েছে। মারধর করে সেই মোবাইল কেড়ে নেয়া হয়েছে বলে মেয়েটি অভিযোগ করছে। নবম শ্রেণীতে পড়ার পর গত ২বছর আর পড়াশোনা করেনি সে।
জানা গেছে, প্রেমিক রাশেদের বাড়ীর নিকট মেয়ের নানা বাড়ী হওয়ার সুবাদে আসা যাওয়ার পথে তার সাথে পরিচয়। তিন বছর আগে রাশেদের সঙ্গে পরিচয় হয় মেয়েটির। এরপর ধীরে ধীরে গড়ে উঠে প্রেমের সম্পর্ক।
এ ব্যাপারে প্রেমিক রাশেদকে বাড়িতে পাওয়া না গেলেও ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে তার মা বেদানা বেগম জানিয়েছেন, তার ছেলের সঙ্গে মেয়েটির সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তবে মেয়েটি পূর্বে বিবাহিত জানতে পেরে তার ছেলে মেয়েটির সাথে আর সম্পর্ক রাখেনি কিন্তু মেয়েটি তাকে ছাড়ছে না। তিনি বলেন, বিয়ের দাবিতে রবিবার থেকে মেয়েটি তাদের বাড়িতে অনশন করছে। তবে তাকে কোন মারধর করা হয়নি বরং খেতে দিচ্ছে।
এদিকে এ বিষয়টি নিয়ে চরপাড়া গ্রামের সমাজপতিরা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছে জানিয়ে গ্রামের প্রবীণ মাতব্বর গোলাম রহমান জানান, এটি স্পর্শকাতর বিষয়। এসব ব্যাপারে কোন সালিশ-বৈঠক করা ঠিক হবে না, বিষয়টি পুলিশ আর আইন-আদালতের ব্যাপার। তারা ঘটনাটি স্থানীয় ক্যাম্প পুলিশকে অবগত করেছে।
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) জাহাঙ্গীর আলম জানান, এ ব্যাপারে কোন অভিযোগ থানায় আসেনি। অভিযোগ আসলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।