জুমবাংলা ডেস্ক : সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় আমেনা বেগম (ছদ্মনাম) নামে এক গৃহবধূ পরকীয়া করতে গিয়ে পড়েছেন বিপাকে। স্বামী-সন্তানের হাতে ধরা খেয়ে প্রেমিক আব্দুল আজিজের (৩৮) বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে আজ শুক্রবার দুপুর ২টা পর্যন্ত উপজেলা সদর ইউনিয়নের মহিষের বাথান গ্রামে তিনি অবস্থান করেন। পরে খবর পেয়ে ধর্মপাশা থানা পুলিশ প্রেমিকের বাড়ি থেকে আমেনাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
আব্দুল আজিজ ধর্মপাশা উপজেলা সদর ইউনিয়নের মহিষের বাথান গ্রামের মৃত তাহের আলীর ছেলে। ঘটনার পর থেকেই প্রেমিক আব্দুল আজিজ বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন। আমেনা বেগম (৩৫) পার্শ্ববর্তী মোহনগঞ্জ উপজেলার তেথুলিয়া ইউনিয়নের পশুখালী গ্রামে। তিনি পাঁচ সন্তানের জননী।
জানা গেছে, প্রায় ৩ বছর আগে ট্রেনে আমেনার সঙ্গে আব্দুল আজিজের পরিচয় হয়। এরপর থেকেই তারা দু’জন পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। তখন থেকে তারা দু’জনই নিজ-নিজ পরিবারের কাছে একে অপরকে ধর্মের ভাই-বোন পরিচয় দিয়ে পারিবারিকভাবেও সম্পর্ক তৈরি করেন। এভাবে তারা পরকীয়া চালিয়ে আসছিলেন। এমন অবস্থায় প্রায় ২০ দিন আগে তার স্বামীসহ প্রেমিকার বাড়িতে বেড়াতে যান আমেনা। ওই দিন রাত ৮টার দিকে ঘরের একটি কক্ষে আমেনা ও তার প্রেমিক আব্দুল আজিজকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পান আমেনার স্বামীসহ তার এক মেয়ে। এ সময় প্রেমিক আব্দুল আজিজ কৌশলে ঘর থেকে বেড়িয়ে পালিয়ে যান। এরপরই তিনি চরম বিপাকে পড়েন।
এই ঘটনার পরই প্রেম কাহিনি শেষ হয়ে যায়নি। একপর্যায়ে তিনি মোবাইল ফোনে তার প্রেমিক আব্দুল আজিজের সঙ্গে যোগাযোগ করে গোপনে বিয়ের করবে বলে সিদ্ধান্ত নেন। পরে ওই রাতেই স্বামীর বাড়ি থেকে পালিয়ে যান আমেনা। আর তখন থেকেই বিভিন্ন আত্মীয়ের বাড়িতে গা ঢাকা দিয়ে থাকেন। এদিকে গত তিন দিন ধরে প্রেমিক আব্দুল আজিজ আমেনার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। পরে আমেনা নিরুপায় হয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে অবস্থান নেন।
গৃহবধূ আমেনা বেগম বলেন, আব্দুল আজিজের জন্য আমার স্বামী-সন্তান-সংসার সবই শেষ হয়ে গেল। এখন আমাকে বিয়ে না করলে মৃ’ত্যু ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।
আব্দুল আজিজের মা সবুরের নেছা (৬০) বলেন, ওই মেয়েটি আমার ছেলেকে ধর্মের ভাই বানিয়েছে। তাকে আমিও আমার নিজের মেয়ের মতোই মনে করি। এমনকি গত পাঁচ থেকে ছয় মাস আগে আমার ছেলের বিয়েতে এসেও কয়েকদিন বাড়িতে থেকে গেছে। আর এখন আমার ছেলের সঙ্গে বিয়ে করার কথা বলে।
ধর্মপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এজাজুল ইসলামের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে কোনো ধরনের কথা বলতে চাননি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।