বাংলাদেশের বাঁ-হাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান স্বরূপে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। শুরুর ৩ ওভারে মাত্র ১২ রান দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু নিজের শেষ ওভারে এক লেগবাইসহ দিলেন ২৬ রান। শ্রীলংকার অলরাউন্ডার দাশুন সানাকার এক ঝড়ে শেষ দিকে তছনছ হয়ে গেছে রংপুর রেঞ্জার্স। কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স তাদের বিপক্ষে তুলেছে ৭ উইকেটে ১৭৩ রান।
অথচ শুরুর ৩৭ রানে ৩ উইকেট এবং ৮৯ রানে ছয় উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় কুমিল্লা। কিন্তু শেষ দিকে কুমিল্লার অধিনায়ক সানাকা দুর্দান্ত ঝড় তোলেন। শেষ তিন ওভারে তারা তুলে নেন ৬৫ রান। এর মধ্যে ইনিংসের ১৮তম ওভারে ১৬ রান নেন তারা। ১৯তম ওভারে মুস্তাফিজের বল থেকে নেন ২৬ রান। আর শেষ ওভারে জুনায়েদ খানের বল থেকে আসে ২৩ রান।
যে কুমিল্লার দেড়শ’ রান হওয়া নিয়ে শঙ্কা ছিল তারাই কি-না গড়ল বড় ইনিংস। টি-২০ ফরম্যাটে রান উঠতে বেশি সময় লাগে না সেটাই প্রমাণ দিলেন দাশুন সানাকা। তার ব্যাট থেকে আসে ৩১ বলে ৭৫ রান। নয়টি ছক্কার সঙ্গে তিনটি চার মারেন তিনি। কুমিল্লার আর কোন ব্যাটসম্যান বড় রান করতে পারেননি। তবে সৌম্য সরকারের ২৬, ডেভিড ম্যালানের ২৫ এবং সাব্বির রহমান ও রাজাপাকশের যথাক্রমে ১৯ ও ১৫ রান স্কোরবোর্ড ফুলিয়ে ফাঁপিরে তুলতে বড় অবদান রেখেছে।
রংপুর রেঞ্জার্সের হয়ে সঞ্জিত সাহা ও মোহাম্মদ নবী কম খরুচে বোলিং করেন। সঞ্জিত ৪ ওভারে ২৬ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। নবীর ৩ ওভার থেকে ১৪ রান নিতে পারে কুমিল্লা। মুস্তাফিজ ৪ ওভারে ৩৫ ও জুনায়েদ খান ৪৭ রান খান। তাসকিন ২ ওভারে দেন ২৩ রান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।