আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের উত্তরপ্রদেশের বড়বাঁকী জেলায় একটি মসজিদ মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। সর্বভারতীয় মুসলিম ল’ বোর্ড (এআইএমপিএলবি) ও উত্তরপ্রদেশের সুন্নি কেন্দ্রীয় ওয়াকফ বোর্ড মঙ্গলবার (১৮ মে) এমন অভিযোগ করেছে।
এ ঘটনায় তারা বিচারবিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছেন। তবে কর্তৃপক্ষের দাবি, আদালতের আদেশে একটি অবৈধ স্থাপনা ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।
দিল্লিভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল এনডিটিভি এমন খবর দিয়েছে।
সর্বভারতীয় মুসলিম ল’ বোর্ড বলছে, আইনগত বৈধ এখতিয়ারের বাইরে সোমবার (১৭ মে) শত বছরের পুরনো গরিবে নেওয়াজ মসজিদটি ধ্বংস করে দিয়েছে প্রশাসন। এটি রাম সানেহি ঘাট তহসিলে অবস্থিত ছিল। রাতে যখন মসজিদটি ভেঙে ফেলা হচ্ছিল, তখন সেখানে পুলিশ ছিল।
এআইএমপিএলবি’র মহাসচিব মাওলানা খালিদ সাইফুল্লাহ রহমানি এক বিবৃতিতে বলেন, এই মসজিদকে ঘিরে কোনো বিতর্ক ছিল না। এটি সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের তালিকাভুক্ত ছিল। গত মার্চে মসজিদ ব্যবস্থাপনা কমিটির কাছে রাম সানেহি ঘাটের উপ-বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট কাগজপত্র চেয়েছেন। পরে মসজিদ কমিটি এলাহাবাদ হাইকোর্টে রিট করেছেন।
মসজিদটি ধ্বংস করে দেওয়ার আগে কোনো নোটিশও দেওয়া হয়নি বলে জানান মাওলানা খালিদ। হাইকোর্টের একজন বিচারপতির মাধ্যমে এ ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্ত ও দায়ী কর্মকর্তাদের বিচার চেয়েছেন তিনি।
এছাড়া মসজিদের ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে সেখানে অন্য স্থাপনা নির্মাণ বন্ধেরও আহ্বান জানিয়েছে মসজিদ ব্যবস্থাপনা কমিটি। মাওলানা খালিদ বলেন, সেখানে নতুন একটি মসজিদ নির্মাণ করে মুসলমানদের হাতে হস্তান্তর করা সরকারের দায়িত্ব।
ওই মসজিদ ও সংশ্লিষ্ট আবাসিক এলাকাকে অবৈধ আখ্যা দিয়ে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদর্শ সিং বলেন, গত ১৫ মার্চ মসজিদের মালিকানা দাবি করার সুযোগ দিয়ে স্থানীয়দের একটি নোটিশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেখানে যারা বসবাস করছিলেন, তারা পালিয়ে গেছেন।
গত ১৮ মার্চ তহসিল কর্তৃপক্ষকে এটির মালিকানা হস্তান্তর করা হয় বলেও দাবি করেন এই ম্যাজিস্ট্রেট। তিনি বলেন, এ সংশ্লিষ্ট একটি পিটিশন গত ২ এপ্রিল খারিজ করে দিয়েছে এলাহাবাদ হাইকোর্টের লাখনৌ বেঞ্চ। এতে প্রমাণ হয় স্থাপনাটি অবৈধ।
তবে এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে এটিকে ক্ষমতার অপব্যবহার হিসেবে উল্লেখ করেছেন উত্তরপ্রদেশ সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।