স্পোর্টস ডেস্ক : বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনাল থেকে ছিটকে যাওয়ার পর ভারতীয় দলের হালচাল নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ। এর মধ্যে এসেছে হাটে হাঁড়ি ভাঙার মতো এক খবর। টিম ইন্ডিয়ায় নাকি বিভাজন আছে! বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মা কেন্দ্রীক বিভাজন।
একটা সময় রাজনীতির আখড়া হয়ে উঠেছিল ভারতীয় ক্রিকেট দল। সৌরভ গাঙ্গুলির নেতৃত্বে রাজনীতির নাগপাশ থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল দল। সেই ভূতই আবার নাকি ফিরে এসেছে দলে। বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে পরাজয়ের পর এমন তথ্যই ফাঁস হয়েছে হাটেবাজারে। রিপোর্ট বলছে, দলে তীব্র হয়েছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। একটা গোষ্ঠী শাসক বিরাট, আর একটি বিরোধী শিবির রোহিতের।
বিশ্বকাপের দল নির্বাচন নিয়ে ইতিমধ্যেই ওঠেছে প্রশ্ন। ইংল্যান্ডে থাকা সত্ত্বেও শিখর ধাওয়ান পরিবর্তে কেন অজিঙ্কা রাহানেকে চাওয়া হল না? বা চার নম্বরে কোন যুক্তিতে আম্বাতি রায়াডুর জায়গায় সুযোগ পান বিজয় শঙ্কর বা ঋষভ পন্থ? সেমি-ফাইনালে ১৮ রানে ভারতের হারের পর এসব নিয়ে নানা বিস্ফোরক তথ্য চলে এসেছে প্রকাশ্যে।
দলের ভেতরের খবর, অধিনায়ক ও সহ-অধিনায়কের মধ্যে বনিবনা নেই। রোহিতের লোকেরা মনে করছেন, কোচ ও অধিনায়ক মর্জিমতো সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। যেমন, আম্বাতি রায়াডুর জায়গায় বাছা হয়েছিল বিজয় শঙ্করকে।
শোনা যাচ্ছে, বিরাট কোহলির কাছের লোকেদেরই বেশি সুযোগ দেওয়া হয়। ব্যর্থ হলেও তারা বাদ পড়ছেন না। মোদ্দা কথা হল, অধিনায়ককে তেল দিয়ে চলতে হবে। বিরোধী হলেও রোহিত শর্মা ও জাসপ্রীত বুমরাহর পারফরম্যান্স ভালো থাকায় টিকে রয়েছেন তারা। স্বাভাবিকভাবেই অধিনায়ক ও কোচের বিরাগভাজনরা চলে যাচ্ছেন রোহিতের শিবিরে।
সূত্রের খবর, কোচ রবি শাস্ত্রী ও বোলিং কোচ ভরত অরুণকে নিয়েও নাখোশ অধিকাংশ ক্রিকেটার। ২০১৭ সালে অনিল কুম্বলে যাওয়ার পর কোচ হয়েছিলেন শাস্ত্রী। দলে এমনটা একটা পরিস্থিতি তৈরি করে রেখেছেন কোচ ও অধিনায়ক, যে তাদের বিরুদ্ধে কেউ টু শব্দটাও করতে পারছেন না। সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করলেই স্থান হারাবার ভয় পাচ্ছেন ক্রিকেটাররা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।