জুমবাংলা ডেস্ক : ভিটামিন খাওয়ানোর কথা বলে ভ্রূণ হত্যার অভিযোগে দুবাই প্রবাসী কাজী সফিউল আলম (৩৪) নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম আদালতে নালিশি মামলা করেছেন তার স্ত্রী (২২)। মামলায় ভুক্তভোগীর শাশুড়ি নুর আয়শা বেগম (৫৫) এবং তার ২ ননদ (স্বামীর ছোট বোন) তসলিমা বেগম (৩২) ও পারভীন বেগমকেও (৩০) আসামি করা হয়েছে। বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফী উদ্দিনের আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও থানাকে তদন্তের আদেশ দিয়েছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৭ ডিসেম্বর ভুক্তভোগীর সঙ্গে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নের বাসিন্দা কাজী সফিউল আলমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে ওই নারীকে তার স্বামী নানা প্রলোভনে গর্ভপাত করান। ওই সময় তিনি তিন মাসের গর্ভবতী ছিলেন। এক্ষেত্রে অন্য তিন আসামি তাকে সহযোগিতা করেন। এরপর গত ১৯ সেপ্টেম্বর ভুক্তভোগীর চার মাস বয়সী ভ্রূণকে আবার গর্ভপাত করানোর চেষ্টা করলে সফিউলসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে নালিশি মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার বাদী ও ভুক্তভোগী ওই নারী সাংবাদিকের জানান, ‘আমার স্বামীর সঙ্গে একাধিক নারীর সম্পর্ক রয়েছে। তিনি প্রায় সময় আমাকে নির্যাতন করেন। বিয়ের পর ভিটামিন ওষুধ খাওয়ানোর কথা বলে তিনি আমাকে প্রথমে গর্ভপাত করান। এখন আমি আবার অন্তঃসত্ত্বা হলে গর্ভপাতের জন্য চাপ দিতে থাকেন। এজন্য আমি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি।’
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট গোলাম মওলা মুরাদ সাংবাদিকদের জানান, ‘ভ্রূণ হত্যার অভিযোগে ভুক্তভোগী এক নারী তার স্বামীসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সংশ্লিষ্ট থানাকে তদন্তের আদেশ দিয়েছেন।’ তিনি আরও জানান, ‘এ ধরণের অপরাধ সমাজে অহরহ ঘটছে। এটাকে অনেকে অপরাধ হিসেবেও মনে করে না। মূলত এর মাধ্যমে আমরা সবাইকে এটা জানাতে চাই, ভ্রূণ হত্যাও একটি অপরাধ। এ ধরনের অপরাধ করলে আইনের আওতায় আসতে হয়।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।