ত্রিদেশীয় সিরিজে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন উইন্ডিজ দলপতি জেসন হোল্ডার। এ রিপোর্ট লেখা অবধি ৪২.৩ ওভার শেষে ক্যারিবীয়ানদের সংগ্রহ ৫ উইকেট হারিয়ে ২১১ রান। অপরাজিত আছেন জোনাথন কার্টার।
দেশের জনপ্রিয় চ্যানেল গাজী স্যাটেলাইট টেলিভিশন লিমিটেড (জিটিভি) সরাসরি সম্প্রচার করবে সিরিজের সবগুলো ম্যাচ। জিটিভি ছাড়াও র্যাবিটহোল স্পোর্টস এর ইউটিউব চ্যানেলে সিরিজটি উপভোগ করতে পারবেন দেশের বাইরের দর্শকরা। দেশের ভেতরে দেখা যাবে র্যাবিটহোল এন্টারটেইনমেন্ট এর ইউটিউব চ্যানেলে। এছাড়া, ম্যাচ পরবর্তী হাইলাইটস তো থাকছেই, দেশ ও দেশের বাইরে থেকে সেটি দেখা যাবে র্যাবিটহোল স্পোর্টস এর ইউটিউব চ্যানেলে। আর খেলার প্রতিনিয়ত গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ প্রচার করবে অনলাইন সংবাদমাধ্যম সারাবাংলা.নেট।
মঙ্গলবার (৭ মে) ডাবলিনে ম্যাচ শুরু হয় বাংলাদেশ সময় বিকেল পৌনে চারটায়। বাংলাদেশের হয়ে প্রথম ওভারটি করেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। এরপর বল করেছেন মাশরাফি, মোস্তাফিজরা। ম্যাচের ১৪তম ওভারে দলপতি মাশরাফি সাকিবের হাতে বল তুলে দেন। তার আগে ১৩ ওভারে বিনা উইকেটে উইন্ডিজরা তুলে ফেলে ৭২ রান। আক্রমণে এসে নিজের প্রথম ওভারের শেষ বলে এক রান দেন সাকিব। ১৭তম ওভারে মিরাজকে আক্রমণে আনেন ম্যাশ। দলপতির আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন এই স্পিনার।
ইনিংসের ১৭তম ওভারে মিরাজ ফিরিয়ে দেন ওপেনার সুনীল অ্যামব্রিসকে। মাহমুদউল্লাহর হাতে ধরা পড়ার আগে এই ক্যারিবীয়ান ওপেনার করেন ৩৮ রান। ৫০ বলে চারটি বাউন্ডারিতে তিনি এই ইনিংস সাজান। দলীয় ৮৯ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় উইন্ডিজ। স্কোরবোর্ডে ১ রান যোগ হতেই সাকিব ফিরিয়ে দেন তিন নম্বরে নামা ড্যারেন ব্রাভোকে। উইকেটের পেছনে মুশফিকের গ্লাভসবন্দি হওয়ার আগে তিনি করেন ১ রান। প্রথম দিকে মাশরাফি, মাঝে সাকিব, এরপর মিরাজকে হতাশ হতে হয়। উইকেটের পেছনে থেকে বেশ কয়েকটি ক্যাচ, স্ট্যাম্পিং মিস করেন মুশফিক। যদিও সেগুলো সহজ ছিল না।
মিরাজ ১০ ওভারে ৩৮ রান খরচায় তুলে নেন একটি উইকেট। ইনিংসের ৪১তম ওভারে মাশরাফি বিদায় করেন রোস্টন চেজকে। মোস্তাফিজের হাতে ধরা পড়ার আগে ৬২ বলে দুটি চার আর একটি ছক্কায় চেজ করেন ৫১ রান। দলীয় ২০৫ রানের মাথায় তৃতীয় উইকেট হারায় উইন্ডিজ।
ওপেনার শাই হোপ ১০৯ রানে বিদায় নেন মাশরাফির শিকারে। আগের ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ১৭০ রান করেছিলেন শাই হোপ। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ষষ্ঠ সেঞ্চুরি তুলে নেন হোপ। গত ডিসেম্বরে বাংলাদেশের বিপক্ষেও টানা দুটি সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। ঢাকায় অপরাজিত ১৪৬ রানের পর সিলেটে করেছিলেন অপরাজিত ১০৮ রান। নিজের শেষ ওভারে মাশরাফি শাই হোপকে ফিরিয়ে দেওয়ার পর একই ওভারে উইন্ডিজ দলপতি জেসন হোল্ডারকেও (৪) বিদায় করেন ম্যাশ। ১০ ওভারে ৪৯ রান দিয়ে তিনটি উইকেট নেন মাশরাফি।
এর আগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক আয়ারল্যান্ডকে উড়িয়ে দেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ক্যারিবীয়ানরা জিতেছে ১৯৬ রানের বিশাল ব্যবধানে। আছে ওপেনিং জুটিতে শাই হোপ-জন ক্যাম্পবেলের বিশ্বরেকর্ড। তাদের হাত ধরে ক্রিকেট বিশ্ব প্রথমবারের মতো দেখেছে ওয়ানডেতে দুই ওপেনারের দেড়শ ছোঁয়া ইনিংস। তাদের জুটি ছিল রেকর্ড গড়া ৩৬৫ রানের।
এদিকে, আয়ারল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছিল ৮৮ রানের ব্যবধানে। এই ম্যাচে নেই আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান ওপেনার জন ক্যাম্পবেল। তার জায়গায় অভিষেক হয় শেন ডরউইচের।
উইন্ডিজ একাদশ: শেন ডরউইচ, শাই হোপ, ড্যারেন ব্রাভো, রোস্টন চেজ, জোনাথন কার্টার, সুনীল অ্যামব্রিস, অ্যাশলে নার্শ, জেসন হোল্ডার, কেমার রোচ, শেলডন কটরেল এবং শ্যানন গ্যাব্রিয়েল।
বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ মিঠুন, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সাব্বির রহমান, মেহেদি হাসান মিরাজ, মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা, মোস্তাফিজুর রহমান ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।