জুমবাংলা ডেস্ক : সাধারণত কোনো মুসলমান মারা গেলে মিলাদ বা কুলখানির আয়োজন করেন স্বজনরা। কিন্তু মৃত্যুর আগেই ১০ গ্রামের মানুষকে দাওয়াত দিয়ে খাওয়ালেন ৮৮ বছরের বৃদ্ধ মো. মোসলেম প্রধান।
৮৮ বছরের এ বৃদ্ধের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার ধামগড় ইউনিয়নের কামতাল গ্রামে। শুক্রবার নিজ বাড়িতে ভূরিভোজের আয়োজন করেন মোসলেম প্রধান। দিনব্যাপী ভূরিভোজে ১০ গ্রামের হাজারো মানুষের উপস্থিতিতে মুখর হয়ে ওঠে কামতাল গ্রাম।
বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুরু হয় গরু জবাইসহ রান্না-বান্নার কাজ। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। মিলাদে অংশ নেন ১০টি মসজিদের ১০ জন ইমাম। মোনাজাতের পর শুরু হয় খাওয়া-দাওয়া, যা বিকেল চারটা পর্যন্ত চলে।
মো. মোসলেম প্রধানের চার ছেলে ও পাঁচ মেয়ে। পুত্রবধূ ও নাতি-নাতনিদের নিয়ে একই বাড়িতে থাকেন। আরো আগেই ছেলে-মেয়েদের মাঝে সম্পত্তি ভাগ করে দেন তিনি।
বড় ছেলে নবীর হোসেন ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান। দ্বিতীয় ছেলের নাম আলী হোসেন খোকা, তৃতীয় ছেলের নাম নূর হোসেন ও চতুর্থ ছেলের নাম কামাল হোসেন।
বৃদ্ধ মোসলেম প্রধান চট্টগ্রাম মাইজভাণ্ডারী পীরের একজন অনুসারী। আমন্ত্রিত অতিথিদের আপ্যায়নের ব্যয়ভার তিনি নিজেই বহন করেন।
মোসলেম প্রধান বলেন, মৃত্যুর আগেই প্রতিবেশী ও আশপাশের গ্রামের মানুষকে দাওয়াত করে খাওয়ানোর ইচ্ছা ছিল। অবশেষে সেই ইচ্ছা আল্লাহ পূরণ করেছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।