জুমবাংলা ডেস্ক : ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মৃত ঘোষণার পর কবরস্থানে দাফনের সময় জীবিত হওয়া সেই নবজাতকের অবস্থা এখন আশঙ্কাজনক। নবজাতকটি পূর্ণ সময়ের অনেক আগেই জন্ম হয়। এখনো সে এনআইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তবে যেকোনো সময় তার অবস্থা খারাপ হতে পারে।
সোমবার (১৯ অক্টোবর) রাতে ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিন গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
নাসির উদ্দিন বলেন, এ ঘটনায় ৪ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি হয়েছে। তিন দিনের মধ্যে রিপোর্ট দেওয়ার কথা। আজকে তদন্ত কমিটির সঙ্গে আমার আলাপ হয়েছে। তারা বলেছে, মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে রিপোর্টটি আমাদের হাতে দেওয়ার কথা। তদন্ত রিপোর্টে যদি কারো বিরুদ্ধে অবহেলার প্রমাণ হয়, সে যেই হোক তার বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, আগেও আমাদের এখানে এমন একটি ঘটনা ঘটেছিল। তখন ওই চিকিৎসককে আমরা আর এখানে ট্রেনিং দেইনি। এক পর্যায়ে তিনি দেশের বাইরে চলে যান। তবে তদন্তে যে দোষী প্রমাণিত হবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তদন্ত রিপোর্টে হাতে পেলেই বিস্তারিত জানানো হবে।
ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালে নবজাতক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও তদন্ত কমিটির প্রধান অধ্যাপক ডা. মনীষা ব্যানার্জি সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, ওই নবজাতকটিকে এখন ওপেন ইনকিউবেটরে অক্সিজেনের মাধ্যমে আছে। এখনো মুখে খাওয়ানোর সময় আসেনি। স্যালাইন দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরো জানান, একটি নবজাতক পরিপূর্ণভাবে জন্ম নিতে ৪০ সপ্তাহ লাগে। আর এই বাচ্চাটা ২৬ সপ্তাহের মধ্যেই জন্ম নিয়েছ। পরিপূর্ণ সময়ের অনেক আগেই তার জন্ম হয়েছে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। ওজন মাত্র ৯০০ গ্রাম।
তিনি আরো জানান, তদন্ত কমিটির প্রধান হিসেবে এটুকু বলতে পারি, মঙ্গলবার রিপোর্টটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেওয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।