স্পোর্টস ডেস্ক: ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো বা তার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী লিওনেল মেসিও নন। হোসে মরিনহোর বিচারে বিশ্বসেরা ফুটবলার হলেন, বিশ্বকাপ জয়ী সাবেক ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রোনালদো নাজারিও।
২০১০ সাল থেকে ২০১৩; এই তিন বছর রিয়াল মাদ্রিদের কোচ ছিলেন মরিনহো। আর এই পুরো সময়টাতেই তার অধীনে খেলেছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো।
আর ততদিনে তার স্বদেশি পর্তুগিজ তারকা সিআরসেভেন দুবার ব্যালন ডি’অর জিতে ফেলেছেন। ওই তিন বছরে তো বটেই, তার চলে যাওয়ার পরের পাঁচ বছরে রিয়ালে যত কীর্তি গড়েছেন রোনালদো, তাকেই বিশ্বের সেরা খেলোয়াড় বলতে পারতেন মরিনহো।
শুধু ক্রিশ্চিয়ানোই নয়, ৬ বারের মতো ব্যালন ডি’অর জয়ী আর্জেন্টাইন জাদুকর লিওনেল মেসিকেও বিশ্বসেরা ফুটবলার বলতে পারতেন মরিনহো।
কিন্তু মরিনহোর চোখে প্রতিভা ও নৈপুন্যে রোনালদো নাজারিও এমনই একটা উচ্চতায় উঠে আছেন যে, সেখানে মেসি ও রোনালদো এখনও পৌঁছাতে পারেননি।
গত এক যুগেরও বেশি সময় ধরে এই দুটি নামই হয়তো বিশ্ব ফুটবলে এক নিঃশ্বাসে উচ্চারিত হচ্ছে, তারপরও ব্রাজিলের রোনালদোর নামই বলবেন মরিনহো।
ফুটবলের সবচেয়ে বড় প্রতিভা কে? সম্প্রতি লাইভস্কোরের এই প্রশ্নের জবাবে টটেনহাম হটস্পারের বর্তমান কোচ বলেছেন, রোনালদো, এল ফেনোমেনো। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ও লিও মেসির ক্যারিয়ারটা অনেক লম্বা, ১৫ বছর ধরে প্রতিটি দিনই তারা শীর্ষে রয়েছে।
মরিনহো বলেন, আমরা যদি শুধু প্রতিভা ও নৈপুন্য নিয়ে কথা বলি, তাহলে কেউই রোনালদোকে (নাজারিও) ছাড়িয়ে যেতে পারেনি। যখন সে বার্সেলোনায় ববি রবসনের অধীন ছিল, আমি বুঝতে পেরেছিলাম সে-ই হচ্ছে বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়। ইনজুরিতে ক্যারিয়ারটি শেষ না হলে সেটি হতে পারতো আরও অবিশ্বাস্য। কিন্তু ১৯ বছরের একটি ছেলেও তো অবিশ্বাস্য রকমের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছে।
প্রসঙ্গত, স্প্যানিশ লিগ লা লিগায় দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদ ক্যারিয়ারের পাশেই ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার দুবার বিশ্বকাপ জিতেছেন। পাশাপাশি জিতেছেন দুটি ব্যালন ডি’অর।
এসি মিলান ও ইন্টার মিলান, বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদসহ সাতটি ক্লাব ও দেশের হয়ে ৪১৪টি গোল করেছেন নাজারিও। তবে ক্যারিয়ারে কখনও চ্যাম্পিয়নস লিগ জিততে পারেননি তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।