রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান খুঁজতে মিয়ানমারকে বোঝাবে চীন : লি কেকিয়াং

মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ, ইউএনবি: দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান খুঁজে পেতে চীন মিয়ানমারকে বুঝাবে বলে বৃহস্পতিবার আশ্বাস দিয়েছেন চীনা প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং। খবর ইউএনবি’র।

সেই সাথে তিনি একমত হয়েছেন যে জোরপূর্ব বাস্তুচ্যুত মানুষগুলোর মাতৃভূমিতে ফিরে যাওয়াই হলো এ সমস্যার সমাধান।

চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে গ্রেট হল অব দ্য পিপলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এ কথা বলেন লি কেকিয়াং।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ বিষয়ে অবহিত করেন পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক। তিনি বলেন, ‘চীনা প্রধানমন্ত্রী বলেছেন তারা চেষ্টা করবেন যাতে দুই দেশ (বাংলাদেশ ও মিয়ানমার) এ সমস্যার একটি সমাধান খুঁজে পায়। এবং চীন এ বিষয়ে মিয়ানমারকে বুঝাবে।’

মানবিক সাহায্যের জন্য শেখ হাসিনার প্রশংসা করে লি কেকিয়াং বলেন, চীন বুঝতে পারছে যে এটি বাংলাদেশের জন্য এক বড় চ্যালেঞ্জ।

চীনা প্রধানমন্ত্রী জানান, তারা মনে করেন যে এ সংকট দ্বিপাক্ষিকভাবে সমাধান করতে হবে। বাংলাদেশ ও মিয়ানমার উভয়ে চীনের বন্ধু হওয়ায় আগেও চীন এ বিষয়ে সাহায্য করেছে। সুতরাং, দুই দেশকে সংলাপে বসে সমস্যার সমাধান করতে হবে।

দ্বিপাক্ষিক আলোচনার শুরুতে শেখ হাসিনা বলেন, উন্নয়নের জন্য শান্তি ও স্থিতিশীলতা খুব অপরিহার্য। কিন্তু মিয়ানমারে নিজেদের বাড়ি থেকে রোহিঙ্গাদের বাস্তুচ্যুতি এ অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতায় প্রভাব ফেলেছে।

দিন দিন রোহিঙ্গা সংকট বড় হয়ে উঠবে জানিয়ে তিনি বলেন, এটা দ্রুত সমাধান করা দরকার। রোহিঙ্গাদের মাতৃভূমিতে ফেরা হলো এ সংকটের সমাধান।

প্রধানমন্ত্রী জানান, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক চুক্তি সই ও সব ধরনের প্রচেষ্টা চালিয়েছে। কিন্তু এসব বাস্তুচ্যুত মানুষ মিয়ানমারে ফিরতে চান না। কারণ তারা ফিরে যেতে ভয় পাচ্ছেন।

এ বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, রোহিঙ্গাদের ভয় দূর করে নিরাপত্তা, সম্মান ও নাগরিকত্ব নিশ্চিত করার পাশাপাশি তাদের ভূমি ও সম্পদ ফিরে পেতে মিয়ানমারে সহায়ক পরিবেশ তৈরির ক্ষেত্রে চীন ভূমিকা পালন করতে পারে।

প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা লেখক মো. নজরুল ইসলাম এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।