আন্তর্জাতিক ডেস্ক: প্যানগং থেকে চীন সেনা সরালেও লাদাখের বহু জায়গাতে এখনও রয়েছে চীনা সামরিক বাহিনী। ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকায় চলছে টহলদারিও। সীমান্ত এলাকায় সেনা সরানোর প্রক্রিয়া নিয়েই ফের মুখোমুখি হয়েছিল ভারত-চীন। লাদাখ ইস্যু নিয়ে এটি ছিল ১২ তম বৈঠক। প্রায় ৯ ঘন্টা ধরে এই দুই দেশের কমান্ডার পর্যায়ে আলোচনা চলে।
প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার (এলএসি) চীনের দিকে মোল্ডোতে এই বৈঠক আয়োজিত হয়। হট স্প্রিং এবং গোগরা পোস্ট এলাকা থেকে সেনা সরানোই এই সামরিক আলোচনার উদ্দেশ্য ছিল। লাদাখের একাধিক অংশে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে ভারত এবং চীনের সেনাবাহিনী। দ্রুত সীমান্ত সমস্যা মেটানো নিয়েই আলোচনা হয় দু’দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে।
প্রায় সাড়ে তিন মাস পর ভারত এবং চীনের সেনা পর্যায়ের মধ্যে বৈঠক হয় গতকাল (৩১ জুলাই) সন্ধ্যায়। যদিও এখনও কোনও সমাধানসূত্র পাওয়া যায়নি বলেই জানা গেছে। দুই দেশই এই লাদাখ ইস্যু নিয়ে চিন্তিত।
সম্প্রতি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর এবং চীনের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক হয়। দুই দেশের মধ্যে যতটা সম্ভব সমাধানের লক্ষ্যেই আলোচনা করা হবে, ভারতের তরফে সেই সাফ বার্তাই দেওয়া হয়েছিল।
চীনের সেনা মোতায়েন করার বিষয়টিই ভারতের প্রধান মাথাব্যথার কারণ। এর আগেও একাধিক বৈঠক হয়েছে,সেখানে শুধু আলোচনাই হয়েছে। কোনও সমাধান সূত্র বের হয়নি। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে সীমান্তে সেনা সংঘর্ষে আবদ্ধ ভারত-চীন। শহীদ হয়েছেন কয়েকজন ভারতীয় সেনাও। যদিও, গত মাসেই সেনা ও কূটনৈতিক পর্যায়ে আলোচনার পর সবচেয়ে বিতর্কিত প্যাংগং হ্রদ থেকে সেনা সরিয়ে নিয়েছে দুই পক্ষই। তবে পরিস্থিতি এখনও পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। তথ্যসূত্র: জিনিউজ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।