জুমবাংলা ডেস্ক : ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় শালিসে বসা নিয়ে আজিমনগর ও কালামৃধা ইউনিয়নের মাঝে সংঘর্ষে উভয়পক্ষের নারী পুরুষসহ কমপক্ষে ৪০ জন আহত হয়েছে। এসময় কয়েকটি ঘরবাড়ি ও শিমুল বাজারের দোকানপাট ভাঙচুর হয়েছে।
বুধবার (৭ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দফায় দফায় এ সংঘর্ষ চলে। গুরুতর আহত ৫ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন পক্ষের মামলা হয়নি।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সপ্তাহখানেক আগে আজিমনগর ইউপির পাতরাইল গ্রামের জসিম মাস্টারের ছেলে আজিজুলের মোটরবাইকের সঙ্গে কালামৃধা ইউনিয়নের মিয়াপাড়া গ্রামের মনার ছেলের অটোবাইকের ধাক্কা লাগে। সেই জেরে মিয়া পাড়ার সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল হক গ্রুপের লোকেরা জসিম মাস্টারকে মারধর করে। মারধরের ঘটনায় বুধবার সকাল ১০টায় আজিমনগর শিমুল বাজার ইউপি ভবনের সামনে পার্শ্ববর্তী দুই জেলার গণ্যমান্য ব্যক্তি নিয়ে সালিশ বৈঠক বসে।
আজিমনগর স্থানীয় চেয়ারম্যান মোতালেব মাতুব্বর তার চেয়ারে একপক্ষের দলনেতা নুরুল হক চেয়ারম্যানকে বসালে অন্যপক্ষ (জসিম মাস্টার) সালিশ বর্জন করে। তখন উভয়পক্ষ সংঘবদ্ধ হয়ে দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র, ঢাল, শড়কি, টেটা ও ইট পাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলতে থাকে।
খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ততক্ষণে উভয় গ্রুপের অন্তত ৪০ জন আহত হয় এবং বাজারের সভাপতি আলমগীর হোসেনের বাড়ি ও শিমুল বাজারের প্রায় দশ থেকে বারোটি দোকান ভাঙচুর করা হয়। এ সংঘর্ষে চতলারপাড় মাঠের পাকা ধান ও সদ্য বুনানো পাটের ব্যাপক ক্ষতি হয়।
এ ঘটনায় ভাঙ্গা থানার ওসি তদন্ত বিকাশ মণ্ডল বলেন, দুই ইউপির মাঝে কয়েকদিন আগের ঘটনার জের ধরে সংঘর্ষ হয়। এখনও কোন পক্ষ থানায় আসেনি। অভিযোগ পেলে মামলা নেয়া হবে। এলাকায় সংঘর্ষ এড়াতে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।