জুমবাংলা ডেস্ক : একটি ইট ভাটা নির্মাণের জন্য তিন ফসলি জমির শ্রেণির পরির্বতন করে এক ফসলি জমি করার অভিযোগ উঠেছে শিবালয় উপজেলা কৃষি বিভাগ ও মানিকগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের বিরুদ্ধে।
মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার উথলী ইউনিয়নের কাতরাশিন মৌজায় তিন ফসলি জমিতে নির্মাণ হচ্ছে ইটভাটা। ।নির্মিতব্য ওই ভাটার পাশেই রয়েছে মসজিদ, বাড়িঘর, পোল্ট্রি ফার্ম।
রয়েছে অক্সিজেন তৈরির কারখানা, পশু ও মাছের খাদ্য উৎপাদনের কারখানা। এমতাবস্থায় সেখানে ভাটা নির্মাণ হলে একদিকে কৃষিজমি হ্রাসসহ খাদ্য উপাদনও কমে যাবে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। সেইসঙ্গে আশপাশের পরিবেশের ওপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশংকা রয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, জাকের পার্টির নেতা কদম আলী খন্দকারের মেসার্স সিডনি ব্রিক ফিল্ড নামের ইট ভাটাটি প্রকৃতপক্ষেই তিন ফসলি জমির ওপর নির্মাণ করা হচ্ছে।
জমির শ্রেণির প্রকৃত তথ্য গোপন করে এক ফসলি দেখানোর নেপথ্যে কলকাঠি নেড়েছেন সাবেক জাকের পার্টির জেলা সভাপতি বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগের এক প্রভাবশালী নেতা।
শিবালয় উপজেলা কৃষি অফিসার মোহাম্মদ রিয়াজুর রহমান স্বাক্ষরিত গত বছরের ৯ নভেম্বর তারিখে মানিকগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালকের কাছে প্রেরিত পত্রে আরও উল্লেখ্য করেছেন সিডনি ব্রিক ফিল্ড এর নিজস্ব দুই একর জমিসহ পাশ্ববর্তী এক কিলোমিটারের মধ্যে সব জমি এক ফসলি (বছরের ৬ মাস জলামগ্ন ও নিচু জমি)।
অথচ সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেলো এককিলো মিটারের বেশি জমির সবখানেই বর্তমানে সরিষার আবাদ হয়েছে। সরিষা ফুলের হলুদের সমারোহ দেখা গেছে।
শিবালয় উপজেলা কৃষি অফিসার মোহাম্মদ রিয়াজুর রহমান বলেছেন, তিনি যখন পরিদর্শনে গিয়েছিলেন তখন ওই জমির অবস্থান দেখে তিনি এই প্রতিবেদন দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে ওই ইউনিয়নের কাতরাশিন মৌজার দায়িত্বে নিয়োজিত এসএও জসিম উদ্দিন সাফ জানালেন, তার নথিতে জমিটি তিন ফসলি জমি। ।তিনি স্বিকার করলেন, সিডনি ব্রিক ফিল্ড এর জমির শ্রেণির ধরন নিয়ে তার মতামত নেয়া হয়নি।
এদিকে কৃষি অফিসারের পত্রের সূত্রধরে অনুসন্ধান করে পাওয়া গেলো আরও ভয়াবহ দুর্নীতির চিত্র। খোদ পরিবেশ অধিদপ্তরের সাবেক সহকারী পরিচালক সাইদ আনোয়ার ২০১৯ সালের ১৪ মার্চ সিডনি ব্রিক ফিল্ড তৈরি অবস্থান গত ছাড়পত্র দিয়ে গেছেন।
এ ব্যাপারে বর্তমান মানিকগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক নুর আলম জানালেন, কী কারণে ওই কর্মকর্তা এ ধরনের উল্টো ঘটনা ঘটালেন এর জবাব তিনিই দিতে পারবেন। তবে তিনি এই প্রতিবেদককে জানালেন, এটি দৃশ্যত আইনে ব্যত্যয় ঘটেছে।
বিয়ষটি নিয়ে কথা হয় পরিবেশ অধিদপ্তরের ওই সাবেক সহকারী পরিচালক (বর্তমানে উপপরিচালক যশোর) সাঈদ আনোয়ারের সঙ্গে। তিনি জানালেন, আইন মেনেই দিয়েছি। উল্টো তিনি বলেন, পত্রিকায় লিখে কোন লাভ হবেনা!
জেলা প্রশাসক এসএম ফেরদৌস এ প্রসঙ্গে সাংবাদিদের জানান, তিন ফসলি জমির নষ্ট করে ইট ভাটা তৈরির কোন সরকারি বিধান নেই। এমনটি হলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানালেন তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।