জুমবাংলা ডেস্ক: বাংলাদেশের রাজনীতিতে হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ বরারই একটি আলোচিত এবং বিতর্কিত নাম হলেও ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে তিনি মানুষের জন্য কিছু যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন যেগুলোর প্রভাব নানাভাবে পড়েছে পরবর্তী সময়ে। তার যুগান্তকারী পদক্ষেপগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল উপজেলা পদ্ধতি চালু এবং হাইকোর্টের বেঞ্চ বিকেন্দ্রীকরণ।
উপজেলা পদ্ধতি চালু
জেনারেল এরশাদ ক্ষমতায় থাকার সময় উপজেলা পদ্ধতি চালু করেন। তাঁর যুক্তি ছিল, সরকারী সুবিধাদি জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্যই এ ব্যবস্থা নেয়া। নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে উপজেলা পরিচালনার পদ্ধতি চালু করা হয়।
যারা ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণের কথা বলেন, তাদের অনেকের কাছেই এই পদ্ধতি প্রশংসা পেয়েছিল।
ওয়ারেন হেস্টিংস-এর ভারত শাসন আমলে আজকের এই উপজেলা পদ্ধতিকে অপরাধ দমনের লক্ষ্যে তৎকালীন থানা ( পুলিশ ষ্টেশন ) হিসেবে প্রবর্তন করা হয়। পরবর্তীতে অপরাধ দমনের পাশাপাশি উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড এ থানা ঘিরে পরিচালিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় এ দেশের থানাগুলিকে মানোন্নীত থানায় ও প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীয়করণের প্রয়োজনে এবং উন্নয়নের সুফল জনগনের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে ১৯৮৩ সালে উপজেলা পদ্ধতি চালু করেছিলেন এরশাদ।
হাইকোর্টের বেঞ্চ বিকেন্দ্রীকরণ
হাইকোর্টের ছয়টি বেঞ্চ ঢাকার বাইরে স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছিলেন হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ। উচ্চ আদালতের বিচারের জন্য যাতে ঢাকায় আসতে না হয় সেজন্যই এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল।
কিন্তু আইনজীবীদের তীব্র প্রতিবাদের মুখে শেষ পর্যন্ত সেটি বাস্তবায়ন করতে পারেনি এরশাদ সরকার।
১৯৮০ দশকে বিভাগীয় স্তরে হাইকোর্ট বেঞ্চ এবং দেশের সব থানা বা উপজেলা পর্যায়ে সহকারী জজের নেতৃত্বে দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত গঠিত হয়েছিল। তা ছাড়া, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী কমিশনারদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেওয়া ছিল। যার সুফল পাচ্ছিল সাধারণ মানুষ। ১৯৯১ সালে ক্ষমতার পালাবদল হলে বিভাগীয় শহরে স্থাপিত হাইকোর্ট বেঞ্চগুলো রাজধানীতে এবং উপজেলা পর্যায়ে স্থাপিত সহকারী জজদের দ্বারা পরিচালিত দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালতগুলো জেলা পর্যায়ে ক্লোজ করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।