জুমবাংলা ডেস্ক : সুন্দরবনের হড্ডা রবিবার (১৮ অক্টোবর) ভোর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে ১০ কেজি হরিণের মাংস, দুটি মাথা, ৪শ মিটার ফাঁদ ও একটি মোটর সাইকেলসহ দুই পাচারকারীকে আটক করেছে মোংলা কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের আওতাধীন বিসিজি নলিয়ান স্টেশানের অপারেশন দল। কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের স্টাফ অফিসার (অপারেশন) লেফটেন্যান্ট কমান্ডার ইমতিয়াজ আলম স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন সূত্রে জানা গেছে, করোনাকালীন সময়ে সুন্দরবনে প্রবেশ নিষেধাজ্ঞার সুযোগে একদল পাচারকারী গোপনে বনে প্রবেশ করে হরিণসহ অন্যান্য বণ্যপ্রাণী শিকার করে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার করে আসছে, গোপন সূত্রে এমন সংবাদ প্রায়ই কোস্টগার্ডের কাছে আসে। পাচারকারীদের তথ্য ও অবস্থান শনাক্ত করে সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায় টহল অব্যাহত রাখে কোস্টগার্ড।
এরই ধারাবাহিকতায় রবিবার ভোররাতে সুন্দরবনের হড্ডা এলাকা দিয়ে মোটর সাইকেল যোগে হরিণের মাংস ও চামড়া পাচারের সময় হাতেনাতে দুই পাচারকারীকে আটক করা হয়।
সুন্দরবনে হরিণ শিকারসহ বিভিন্ন অপরাধ মূলক কর্মকান্ডে জড়িত থাকার কথা কোস্টগার্ডের কাছে স্বীকার করেছে পাচারকারীরা। আটককৃতরা হলেন- খুলনার কয়রা এলাকার হড্ডা গ্রামের অরবিন্দু রায়ের পুত্র শ্রী জামিনী রায় ও একই এলাকার শ্রী সুরিন্দ্রনাথ মন্ডলের পুত্র শ্রী অরুন মন্ডল। হরিণের মাংস, চামড়া ও অন্যান্য মালামালসহ আটককৃদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য হড্ডা ফরেষ্ট অফিসে হস্তান্তর করেছে কোস্টগার্ড।
কোস্টগার্ড কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার ইমতিয়াজ আলম আরো জানান, বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের এখতিয়ারভূক্ত এলাকাসমূহে যেকোন ধরনের সন্ত্রাসী তৎপরতা, বনদস্যু জলদস্যুদের অপতৎপরতা, মাদক ব্যবসায়ীদের নির্মুল করা সহ ও বন্যপ্রাণী পাচারকারী এবং নিধনকারীদের বিরুদ্ধে কোস্টগার্ড বাহিনী নিয়মিত অভিযান চালিয়ে যাবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।