জুমবাংলা ডেস্ক : ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার আকোটেরচর গ্রামের দলিল উদ্দিন শেখের ছেলে বাবু শেখকে (৩৭)। পেশায় একজন মোবাইল চোর হলেও নেশা তার বিয়ে। একে একে ২৬ টি বিয়ে করেছেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। ২৭ নম্বর বিয়ে করতে গিয়ে ধরা বাবু শেখ।
গত মঙ্গলবার ভাঙ্গা ও সদরপুর থানা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে বাবু শেখ ও তার ভায়রা ভাই আবুল খায়ের মাতুব্বরকে (৩২) গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে বুধবার তাদের আদালতের মাধ্যকে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
পুলিশ সূত্র জানায়, গত ৩ জানুয়ারি ভাঙ্গা উপজেলায় পরপর কয়েকটি চুরির ঘটনায় মামলা হয়। মামলার সূত্র ধরে প্রথমে জান্দী গ্রাম থেকে খায়েরকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যমতে পুলিশ চোরের সরদার বাবুকে গ্রেপ্তার করে।
বাবুর দেয়া স্বীকারোক্তির বরাতে ভাঙ্গা থানার এসআই মো. আজাদ জানান, অসহায় ও দরিদ্র পরিবারের মেয়েদের বিয়ে করাই ছিল বাবুর লক্ষ্যবস্তু। তার নেশা হলো দামি দামি মোবাইল সেট চুরি আর নতুন নতুন বিয়ে করা। তিনি চোরাই ফোনের আইইএমই নম্বর পরিবর্তন করে তা বিক্রি করে পাওয়া টাকায় বিয়ে করতেন।
এসআই আজাদ বলেন, গ্রামের অভিভাবকদের দারিদ্র্যতার সুযোগ নিয়ে তাদের টাকার প্রলোভন দেখিয়ে পরিবারের মেয়েকে বিয়ে করতেন বাবু। খরচ করতেন ৮০ হাজার থেকে লাখ টাকা পর্যন্ত। বিভিন্ন এলাকায় বিয়ে করার সুবাদে সেখানে খোঁজখবর করে নতুন চুরির ঘটনা ঘটিয়ে তিনি পালিয়ে অন্য জায়গায় আত্মগোপনে থাকতেন।
সম্প্রতি ভাঙ্গার ছিলাধরচর গ্রামের মিজানুরের বাড়িতে দিন-দুপুরে চুরির ঘটনা ঘটে। সেখান থেকে একটি মোটরসাইকেল, কয়েকটি দামি মোবাইল ও ল্যাপটপসহ নানা মালামাল চুরি করেন বাবু। এছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি বড় চুরির ঘটনা তিনি ঘটান।
গতকাল ১৪ জানুয়ারি ভাঙ্গার জান্দী গ্রামের দরিদ্র সোবাহানের মেয়ের সাথে চোরা বাবুর বিয়ের দিন ঠিক হয়। এর আগে তিনি একইভাবে ২৬ বিয়ে করেন। নতুন বিয়েটি সম্পন্ন হলে ২৭ বিয়ে হতো তার, বলেন এসআই আজাদ।
মামলার এ তদন্ত কর্মকর্তা আরো বলেন, বাবুকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে চুরির ঘটনায় তার সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন। তবে তিনি ও তার সহযোগীকে আটক করতে পারলেও মালামাল উদ্ধার করতে পারিনি। মালামাল উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। সূত্র: ইউএনিবি
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।