জুমবাংলা ডেস্ক: চট্টগ্রামের চারটি হাসপাতালে ঘুরেও চিকিৎসা পাননি সীতাকুণ্ডের এক প্রাক্তন স্কুল শিক্ষক। ফলে হাসপাতাল থেকে হাসপাতাল যাওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়। তার ডায়াবেটিসের মাত্রাও কমে গিয়েছিল এ সময়।
মৃত স্কুল শিক্ষকের নাম নুরুল আলম। তিনি সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী হাজী টিএসি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক।
নুরুল আলমের ছাত্র মামুনুর রশীদ মামুন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎ ওনার শরীর খারাপ হয়ে যায়। তখন ওনাকে ভাটিয়াটির বিএসবিএ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে ডাক্তাররা অক্সিজেন ও প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেলে নিয়ে যেতে বলেন। পরে তার ছেলেরা চমেকের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। ওনার যখন অবস্থা বেশি খারাপ হয়ে যায় তখন ইউএসটিসিতে নিয়ে যায়। সেখানে অনেকক্ষণ ধরে অপেক্ষার পরও ডাক্তার রোগী দেখেননি। কেউ বলে ডাক্তার আছে আবার কেউ বলে ডাক্তার নাই।’
তিনি বলেন, ‘একপর্যায়ে ছেলেরা চেঁচামেচি শুরু করলে ওনারা বলেন এখানে কোনও করোনা রোগী চিকিৎসা করা হয় না। যদিও ওনার করোনা তো দূরের কথা, উপসর্গও ছিল না। এক ঘন্টা পর ওনাকে নিয়ে যাওয়া হয় ডায়াবেটিস হাসপাতালে। যেহেতু ওনার ডায়াবেটিস সমস্যা। সেখানে একজন চিকিৎসক তাকে দেখে বলেন ওনার পালস কাজ করছে না, জরুরিভিত্তিতে চমেকে নিয়ে যান। পরে সেখানে নিয়ে গেলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।