জুমবাংলা ডেস্ক : লিচুর জন্য দিনাজপুরের খ্যাতি রয়েছে দেশ জুড়েই। করোনা পরিস্থিতির কারণে গত দুই বছর দাম কম থাকলেও এবার রেকর্ড দামে বিক্রি হচ্ছে লিচু।
বোম্বাই, বেদানা ও চায়না-থ্রি জাতের লিচু গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। এমনকি দু’টি চায়না-থ্রি জাতের লিচুর দাম এক কেজি চালের থেকেও বেশি পড়ছে।
বুধবার (৮ জুন) দিনাজপুরের সবচেয়ে বড় অস্থায়ী লিচুর বাজার গোর-এ শহীদ বড়ময়দানে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ব্যস্ততম সময় পার করছেন লিচু বিক্রেতারা। পছন্দের লিচু সাশ্রয়ী দামে কিনতে ক্রেতারাও ছুটছেন এক দোকান থেকে আরেক দোকানে। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় লিচুর দাম বেশি থাকছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
অস্থায়ী লিচু বাজারের বিক্রেতা সিরাজুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, বড় আকারের চায়না-থ্রি লিচু বিক্রি করছি প্রতি হাজার ২৫ হাজার টাকায়। এ হিসেবে প্রতিটি লিচুর দাম পড়ছে ২৫ টাকা। যা গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি। গত বছর করোনা পরিস্থিতির ভয়ে মানুষ লিচু কম খেয়েছে। কিন্তু এবারে লিচুর চাহিদা অনেক বেশি থাকার পাশাপাশি ফলনও তুলনামূলক কম হওয়ায় দাম বেশি থাকছে। চায়না-থ্রি লিচুর বীজ ছোট, মাংস ও স্বাদ বেশি হওয়ায় বেশি দামেই কিনছেন ক্রেতারা।
আরেক বিক্রেতা সারোয়ার হোসেন বলেন, বুধবার চায়না-থ্রি লিচু প্রতি হাজারের দাম ২২ হাজার টাকা করে কিনেছি। পরিবহন ও অন্যান্য খরচ মিলিয়ে ২৫ হাজার টাকা করে বিক্রি করছি।
গাইবান্ধা থেকে লিচু কিনতে আসা হাসান আলী বলেন, দিনাজপুরের লিচুর মিষ্টতা ও স্বাদ বেশি হয়। তাই পরিবারের জন্য আজকে লিচু কিনতে এসেছি। গত বছরেও এসেছিলাম। কিন্তু এবারে দাম অনেক বেশি। বেদনা ও চায়না-থ্রি লিচুর অনেক দাম হওয়ায় বোম্বাই লিচু কিনেছি।
এ যাবতকালের সর্বোচ্চ দামে চলছে এবারের লিচুর বাজার। বুধবার বোম্বাই জাতের লিচু আকার ভেদে প্রতি হাজার বিক্রি হচ্ছে ২৫শ’ থেকে ৩৫শ’ টাকায়, বেদানা লিচু ৮ হাজার থেকে ১৩ হাজার এবং চায়না-থ্রি ১৫ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।