জুমবাংলা ডেস্ক : মাথার ওপর কপালে একটি চোখ। নাক নেই, মুখ দিয়ে শ্বাস-প্রশ্বাস নিচ্ছে। অবাক করার মতো বিষয় হলেও এমনি এক গরুর বাছুর জন্ম নিয়েছে। এমন নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেছে নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায়।
বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। বাছুরটি দেখতে বিভিন্ন এলাকা থেকে দলে দলে মানুষ ছুটছে সেখানে।
রবিবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার চন্ডিগড় ইউনিয়নের পশ্চিম রগজোর গ্রামের কৃষক আবু হানিফের বাড়িতে বাছুরটির জন্ম হয়।
আজ সোমবার কৃষক আবু হানিফের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, গরুর একটি বাছুর মাটিতে শুয়ে আছে।
বাছুরটির চার পা লেজসহ সবকিছু স্বাভাবিক থাকলেও মাথার ওপরে কপালে একটি চোখ, তবে নাক নেই। মুখ দিয়েই নিচ্ছে শ্বাস-প্রশ্বাস। গরুটির মালিক হানিফ মা গাভিটি থেকে দুধ সংগ্রহ করে বোতলে করে বাছুরটিকে খাওয়াচ্ছেন।
বাড়িতে উৎসুক জনতার ভিড় দেখা গেছে।
কৃষক আবু হানিফ বলেন, গতকাল রবিবার দুপুরে গাভীটির প্রসব ব্যথা উঠার কিছুক্ষণ পরেই স্বাভাবিক নিয়মে একটি বাছুর জন্ম দেয়। বাছুরটির সবকিছু স্বাভাবিক থাকলেও মাথার ওপরের অংশে কপালে একটি চোখ এবং নাক নেই। মুখ দিয়েই নিশ্বাস নিচ্ছে। এই দৃশ্য দেখে আমরা হতভম্ব হয়ে পড়ি। আমরা ফিটারের মাধ্যমে বাছুরটিকে দুধ ও পানি খাওয়াচ্ছি।
এর আগে গাভীটি তিনবার বাছুর জন্ম দিয়েছে। চতুর্থবারে এ রকম একটি ঘটনা ঘটলো।
বাছুর দেখতে আসা স্থানীয় যুবক শামীম বলেন, আমি বিষয়টি জানতে পেরে এখানে এসে দেখলাম ঘটনা সত্য৷ বাছুরটি দেখে অবাক হয়েছি, মাথার ওপর কপালে একটি চোখ ও নাক নেই।
হান্নান নামের আরেকজন বলেন, আজ আমি লোকজনের কাছে জানতে পেরে আবু হানিফের বাড়িতে এসে দেখলাম বাছুরটিকে। বাছুরটির জিহ্বা ও মুখ লম্বা। তার কপালে একটি চোখ ও নাক নেই। এরকম বাছুর আমি কখনো দেখেনি।
উপজেলা উপ সহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ছিদ্দিক উর রহমান বলেন, বাছুরটিকে আমরা জন্ম প্রতিবন্ধী হিসেবে শনাক্ত করেছি। প্রজনন করার কারণে অনেক সময় এরকম হয়ে থাকে। আমরা তাদের পরামর্শ দিয়েছি ফিটারের মাধ্যমে বাছুরটিকে দুধ ও পানি খাওয়ানোর জন্য৷ বাছুরটি এখনও বেঁচে আছে, তবে বাছুরটির বাঁচার সম্ভাবনা খুব কম।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।