জুমবাংলা ডেস্ক : বন্ধ থাকা প্রায় অর্ধকোটি সিম পুনরায় বিক্রি করা নিয়ে দেখা দিয়েছে জটিলতা। রিসাইক্লিং সিম কেনার পর গ্রাহক মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসে (এমএফএস) অ্যাকাউন্ট খুলতে পারছেন না। এদিকে, বন্ধ সিমের অ্যাকাউন্টের টাকা সংশ্লিষ্ট হিসাবে জমা রাখার নির্দেশনা রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) নতুন নিয়ম অনুযায়ী, টানা সাড়ে চারশ দিন কোনো সিম ব্যবহার না করা হলে কার্ডের মালিকানা ধরে রাখতে বাড়তি ৩০ দিন সময় দেয়া হবে। এই হিসাব অনুযায়ী ৪৮০ দিন পর মালিকানা স্বত্ব হারাবেন গ্রাহকরা। এরপর মোবাইল ফোন অপারেটর সেই সিম নতুন করে বিক্রি করতে পারবে।
যমুনা টিভি অনলাইনের সাংবাদিক মাসুদুজ্জামান রবিনের এক প্রতিবেদন থেকে এমন তথ্য জানা গেছে।
এই হিসেবে চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত প্রায় ১১ কোটি সিম রিসাইকেল বা পুনরায় বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেছে বিটিআরসি। কিন্তু এর মধ্যে তিনটি বেসরকারি অপারেটরের প্রায় অর্ধকোটি সিম পুনরায় বিক্রি করার বিষয়ে দেখা দিয়েছে জটিলতা। এই অর্ধকোটি সিমে এমএফএস অ্যাকাউন্ট থাকায় তা বিক্রয় উপযোগী করা যাচ্ছে না। এসব সিম নতুন করে যারা কিনছেন, তারা এমএফএস অ্যাকাউন্ট খুলতে পারছে না।
অপারেটররা বলছে, নিবন্ধন হারিয়ে ফেলা রিসাইক্লিং সিমের জন্য ভেন্ডরদের কাছে নিয়মিত অর্থ পরিশোধের খরচ গুণতে হচ্ছে।
মোবাইল অপারেটর রবির চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার মো. শাহেদ আলম বলেন, বন্ধ থাকা সিমগুলো পুনরায় চালু করতে একটু সময় লাগে। কেন্দ্রীয় বায়োমেট্রিক সার্ভার থেকে সিমের তথ্য মুছে ফেলতে হয়। যদি কোনো সিমে এমএফএস অ্যাকাউন্ট থাকে, তাহলে নতুন করে অ্যাকাউন্ট করা যায় না। যারা এমএফএস প্রোভাইডার, তাদের সাথেও আমরা যোগাযোগ করি, তাদেরও একটা অনুমতি লাগে।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, বন্ধ সিমের অ্যাকাউন্টে জমাকৃত টাকা সংশ্লিষ্ট এমএফএসের ব্যাংক হিসাবে জমা রেখে সেই সিম নতুন করে বিক্রির সুযোগ আছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক বলেন, ব্যাংকের ক্ষেত্রে সরকারি নিয়ম, টাকাটা একটা ডরমেন্ট অ্যাকাউন্টে জমা রাখবে। জমা রাখার পর ১০ বছরেও কেউ দাবি না করলে তা বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা রাখবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক তা আরও দুই বছর জমা রাখবে। তখনও কেউ দাবি না করলে সরকারের কোষাগারে জমা দেয়া হয়। ডরমেন্ট অ্যাকাউন্ট ক্লোজ করে ফেললে ওই সিম এমনেই চলে যায়।
বিটিআরসি বলছে, রিসাইক্লিং করা সিম নতুন করে সচল করার জন্য অপারেটরদের সহযোগিতা করা হবে। সংস্থাটির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার বলেন, রিসাইকেল করার জন্য মোবাইল অপারেটর থেকে আমাদের কাছে আবেদনটা আসবে। কোনো কারণে সিম বন্ধ থাকলে তা তো করবেই মোবাইল কোম্পানি। তারা রি-ইস্যু করবে, আর আমাদের কাছ থেকে অনুমতি নেবে।
ফেবিকল সবকিছুকে আটকে রাখে, কিন্তু নিজে বোতলে আটকে থাকে না কেন?
বিটিআরসির হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছরের মে পর্যন্ত ৮ কোটি ৭১ লাখ রিসাইক্লিং সিম বিক্রি করেছে অপারেটররা। বর্তমানে সক্রিয় সিমের সংখ্যা প্রায় ১৮ কোটি।
সূত্র : যমুনা টিভি অনলাইন
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।