জুমবাংলা ডেস্ক : ‘আপনার জামায় বোতাম আছে এতে আল্ট্রাসনোগ্রাম, ইসিজি হবে না। নরম কাপড় পড়ে আসেন।’- এ কথা বলে অনার্স পড়ুয়া রোগীকে বাথরুমে কাপড় পাল্টাতে পাঠায় ক্লিনিকের ম্যানেজার। এরপর চুপিচুপি বাথরুমের দরজার উপর দিয়ে মেয়েটির অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে। এক পর্যায়ে মেয়েটি টের পেয়ে চিৎকার করে। পরে অভিযুক্তকে আটক করা হয়। দেশের জনপ্রিয় গণমাধ্যম ডেইলি-বাংলাদেশ এক অনলাইন প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়- শুক্রবার পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার কাশিনাথপুর বাজার মা জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ইসমাইল হাসান ঐ ক্লিনিকের ম্যানেজার।
ভুক্তভোগীর বাবা জানান, শুক্রবার বিকেলে আমি মা জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডা. আব্দুস সবুরের কাছে আমার মেয়ে ও স্ত্রী হার্টের চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাই। এ সময় ডাক্তার আল্ট্রাসনোগ্রাম এবং ইসিজি করতে বলেন। ক্লিনিকের ম্যানেজার ইসমাইল হাসান মেয়েটিকে বিভিন্ন ধরনের আপত্তিকর কথা বলে। পরে বলে, ‘আপনার গায়ের জামায় বোতাম আছে এতে আল্ট্রাসনোগ্রাম, ইসিজি হবে না। নরম কাপড় পড়ে আসেন।’ পরে আমার মেয়ে বাথরুমে কাপড় পরিবর্তন করতে যায়। সেই সময় ম্যানেজার চুপিচুপি বাথরুমের দরজার উপর দিয়ে মোবাইল দিয়ে তার ভিডিও ধারণ করে। এক পর্যায়ে আমার মেয়েটি টের পেয়ে চিৎকার করে এবং আমাদের জানায়। পরে বিষয়টি হাসপাতালের মালিক রুবেল খানকে জানাই আমরা। এ সময় আশপাশে থাকা অন্য রোগীরা লম্পট ম্যানেজারকে একটা কক্ষে আটকে রাখেন।
মেয়েটির বাবা-মা অভিযোগ করেন, অভিযুক্ত ম্যানেজারের কাছে যে ভিডিও আছে তা ডিলিট করতে ক্লিনিকের মালিককে অনুরোধ করেন তারা। তবে মালিক রুবেল খান এ বিষয়ে গড়িমসি করেন এবং এক পর্যায়ে অভিযুক্ত ম্যানেজারকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেন। এ সময় আশপাশের লোকজন জমায়েত হয় ক্লিনিকে সামনে। হাসপাতাল মালিক তার স্থানীয় ক্যাডার বাহিনীকে খবর দিয়ে এনে উল্টো ভুক্তভোগীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে হাসপাতাল থেকে চলে যেতে বাধ্য করেন। এতে ভুক্তভোগী পরিবার চরম আতঙ্কে রয়েছেন।
ভুক্তভোগীর বাবা বলেন, ‘আমার মেয়ে অবিবাহিত অনার্স এ পড়াশোনা করছে। এখন যদি ঐ অশ্লীল ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়, তাহলে তার আত্মহত্যা করা ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না। আমি আইনের আশ্রয় নেবো।’
স্থানীয়রা জানায়, মা জেনারেল হাসপাতালের মালিক কাশিনাথপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক। সাবেক ডেপুটি স্পিকার ও বেড়া পৌরসভার সাবেক মেয়রের ছত্রছায়ায় অনেক অবৈধ কাজ করেছেন। তার হাসপাতালে অসামাজিক অনেক কর্মকাণ্ড হয়। ইসিজি করার সময় সুন্দরি মেয়েদের ছবি তুলে তাদের ব্লাকমেইল করে অসামাজিক কাজে বাধ্য করা হয়।
অভিযুক্ত ম্যানেজার ইসমাইল হাসানের মুঠোফোন বন্ধ থাকায় এ বিষয়ে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সাঁথিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আব্দুল বাতেন বলেন, এটা তারা অন্যায় করেছে। আমি হাসপাতালে এসে শোকজ করবো। সূত্র : ডেইলি-বাংলাদেশ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।