আন্তর্জাতিক ডেস্ক : এ যেন প্রসাদ বিতরণ। এ প্রসাদ কখনও পাননি কেউ। পৃথিবী চোখেই দেখেনি এ বস্তুর চেহারা কেমন। হাতে নিলে কেমন লাগে। অবশেষে বিশ্বের অনেক বিজ্ঞানী তা হাতে পাওয়ার অপেক্ষায় দিন গুনছেন। এই বিতরণ এখন নাসার হাতে। আর তারা তার রূপরেখা তৈরি করে ফেলেছে। এ সম্পদ তারাই অর্জন করেছে। সেটি তাদের মালিকানায় রয়েছে। তবে তারা তার কিছুটা বিশ্বের নানা বিজ্ঞানীর হাতে তুলে দিতে চলেছে। তারজন্য টেক্সাসকে বেছে নিয়েছে নাসা।
সেখান থেকেই হবে এই বিতরণের কাজ। আছে তো সাকুল্যে ২৫০ গ্রাম। তার ছোট ছোট ভাগ করেই বিতরণ করবে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।
৭ বছরের লড়াইয়ের শেষে নাসার যান ওসিরিস-রেক্স ছুঁয়ে এসেছে এক গ্রহাণুকে। বেণু নামে ওই গ্রহাণুতে অবতরণ করে সেখান থেকে পাথর ও ধুলো সংগ্রহ করেছে সে।
তারপর তা সযত্নে একটি ক্যাপসুলে ভরে নিয়ে ফিরেছে পৃথিবীতে। ইউটা মরুভূমিতে নাসার যান সেই ক্যাপসুলটি ছুঁড়ে দেয় মহাকাশ থেকে। সেটিকে সেখান থেকে উদ্ধার করেন নাসার বিজ্ঞানীরা।
বিশ্ব মহাকাশ বিজ্ঞানে এ এক নতুন অধ্যায়। এই প্রথম কোনও গ্রহাণুতে পৌঁছে সেখান থেকে পাথর, মাটির নমুনা সংগ্রহ করে পৃথিবীতে নিয়ে এসেছে কোনও যান। ফলে ও জিনিস এই প্রথম দেখা, হাতে নেওয়ার সুযোগ পেলেন বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, বেণু নামে ওই গ্রহাণুর নমুনা পরীক্ষা করতে পারলে মহাকাশের আরও অনেক গোপন রহস্য তাঁরা ভেদ করতে সক্ষম হবেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।