জুমবাংলা ডেস্ক : চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে নতুন জাতের আমের সন্ধান পাওয়া গেছে। নাম মামুন-৩। জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার মোবারকপুর ইউনিয়নের ভাতুরিয়া বিল মাঠে এই জাতের সন্ধান পাওয়া যায়। এ জাতের আমের উদ্ভাবক চককীর্তি ইউনিয়নের কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রামের কৃষক লিয়াকত আলির ছেলে মামুন অর রশিদ।
তিনি জানান, প্রায় ১০ বছর আগে তার পিতা মাঠে কাজ করার সময় আঠির চারা দেখতে পেয়ে তা তুলে নিয়ে এসে নিজ বসতবাড়িতে রোপন করেন। দুই বছর পরেই গাছটি কয়েকটি আম ধরে। সে আমগুলো পাকে আষাঢ মাসের শেষের দিকে। আম খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু হওয়ায় সে গাছে কয়েকটি চারা কার্টিং করে ভাতুরিয়া বিলের মাঠে নিজ জমিতে রোপন করেন। কয়েকবছরের মধ্যে দুইবিঘা জমিতে ৩৩ ঝাড় গাছ রোপন করেন।
তিনি জানান, এ জাতের আমের প্রধান বৈশিষ্ট হলো: আমের গুঠি, খীরসাপাত, ন্যাংড়া, গোপালভোগ, মোহনভোগ, বগলাগুঠিসহ বিভিন্ন জাতের আম যখন শেষের পথে, তখন মামুন -৩ আম পাকতে শুরু করে। পাকা অবস্থায় বেশ কিছুদিন গাছে থাকলেও ঝরে পড়ে না।
তিনি জানান, এ জাতের আমের খোসা অত্যন্ত পাতলা, আঠি ছোট, দেখতে অত্যন্ত সুন্দর । রং হালকা কমলা ও লাল। পোকা মাকড়ের আক্রমণ না করায় কোন প্যাকেটিংয়ের প্রয়োজন হয় না। রাসায়নিক বিষ প্রয়োগ করতে হয় না। রাসায়নিক সারে পরিবর্তে ছাগলের মল, গরুর শুকনা গোবর, খৈলসহ প্রাকৃতিক সার প্রয়োগ করলেই চলে। মুকুল ধরে মার্চ মাসের শেষের দিকে অর্থাৎ বাংলা চৈত্র মাসে। ঝড়ে এ জাতের আম পড়ে কম।
আমের নামকরণ সর্ম্পকে তিনি জানান, এ আমের জাত সম্পর্কে কেউ কিছু বলতে না পারায় তিনি নিজ নাম অনুসারে নাম রেখেছেন ‘মামুন -৩’। কয়েকদিন আগে ৪ মণ আম কানসাট বাজারে ৩ হাজার টাকা মন দরে বিক্রি করেছেন। এ মৌসুমে প্রায় ৪ লাখ টাকার আম বিক্রির প্রত্যাশা তার।
তিনি জানান, অন্যান্য জাতের আমের চেয়ে এ জাতের আম গাছে পরিচর্যা কম করা লাগে। এ পর্যন্ত দুই বিঘা জমিতে প্রায় ৪০ হাজার টাকা খরচ করেছেন।
এব্যাপারে শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শরিফুল ইসলাম বলেন, এ জাতের আম সম্পর্কে আমার জানা নেই। তবে এটি অবশ্যই একটি ভাল উদ্যোগ। আমি দ্রুত তার বাগানটি পরিদর্শন করবো এবং তাকে সবধরনের সহযোগিতা করবো।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।