আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইতালির রাজধানী রোমে ইউরোপের সর্ববৃহৎ মসজিদের অবস্থান। মূল শহর থেকে চার কিলোমিটার দূরে সবুজে ঘেরা এক মনোরম পরিবেশে অবস্থিত বড় মসজিদ বা গ্রান্ডে মসকিয়া। দুইশ’ মুসল্লি দিয়ে শুরু হওয়া মসজিদটিতে এখন নামাজ পড়েন ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ।
ধর্মপ্রচার নয়, ইসলামের আদর্শ সমুন্নত রাখতে ১৯৬৬ সালে ইউরোপের সর্ববৃহৎ মসজিদ নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয় ইতালির রাজধানী রোমে। এরপর ১৯৮৪ সালে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয় গ্রান্ডে মসকিয়া মসজিদের। তৎকালীন সৌদি বাদশাহ’র অনুদানে মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পর ১১ বছর পেরিয়ে যায় মসজিদটি উদ্বোধন করতে।
রোমের মূল শহর থেকে চার কিলোমিটার দূরে পারিওলি এলাকায় তিন একর জমির ওপর নির্মিত গ্রান্ডে মসকিয়া। ইউরোপের মধ্যে সবচেয়ে বড় এই মসজিদে একসঙ্গে ১২ হাজার মানুষ নামাজ আদায় করতে পারেন। তবে পবিত্র ঈদসহ মুসলিমদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলোতে সে সংখ্যা ছাড়িয়ে যায় ৫০ হাজারের ঘর।
মসজিদের ইমাম মিশরীয় বংশোদ্ভুত ইতালিয়ান নাগরিক ড. নাদের আক্কাত বলেন, বিভিন্ন দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমান আমাদের অতিথি। ইসলাম ধর্মের প্রচার নয়, বরং এর সৌন্দর্য দেখাতেই এই মসজিদ গড়ে তোলা হয়েছে। ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশের মানুষ এখানে আসেন। তাদের ইসলামিক কায়দায় সম্মান দেয়াই আমাদের লক্ষ্য।
মসজিদটির প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা আব্দুর রহমান বলেন, আমরা শুরু করেছিলাম ২০০ মানুষ নিয়ে। এখন সেখানে ১২-১৫ হাজার মানুষ একসঙ্গে নামাজ আদায় করেন। পুরো রোম শহরেই বাংলাদেশিরা অনেক মসজিদ পরিচালনা করেন।
মসজিদটিতে নামাজ আদায় করতে পেরে আনন্দিত প্রবাসী বাংলাদেশিরাও।
ইতালিতে সরকারি অনুমোদনপ্রাপ্ত একমাত্র মসজিদ গ্রান্ডে মসকিয়া। দেশটির নামকরা আর্কিটেক্ট পাওলো পোর্টোগেসি এবং ইরাকি আর্কিটেক্ট সামি মুসাভির ডিজাইন করা এই মসজিদটি উদ্বোধনের সময় বিপুল সংখ্যক ধর্মপ্রাণ মুসলমান উপস্থিত ছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।