জুমবাংলা ডেস্ক : নয়াদিল্লি সফরে ভারতের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সই করা ১০টি সমঝোতা স্মারককে ‘দাসত্বের নতুন সংস্করণ’ উল্লেখ করে প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে সম্পাদিত সব চুক্তি অনতিবিলম্বে জনসম্মুখে প্রকাশের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি।
দলটি উদ্বেগ প্রকাশ করে যে, ভারতকে একটি রেল করিডোর প্রদান করে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে রেলপথের একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার অনুমতি দেওয়া আত্মঘাতী এবং জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী।
রবিবার (৩০ জুন) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন।
ভারতের সঙ্গে রাষ্ট্রবিরোধী চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকের বিরুদ্ধে জনমত সৃষ্টি করা হবে বলে জানান তিনি।
ফখরুল বলেন, ‘জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া অবৈধ মাফিয়া সরকারের বর্তমান প্রধান শেখ হাসিনা ভারতের সঙ্গে ১০টি সমঝোতা স্মারক সই করেছেন। এটা দাসত্বের নতুন সংস্করণ।’
ভারতকে যোগাযোগের নামে একটি করিডোর দেওয়া, বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে যাওয়া রেললাইনের মাধ্যমে ভারতের এক অংশকে অন্য অংশের সঙ্গে সংযুক্ত করা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তাকে বিপন্ন করবে বলে মনে করেন বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, ‘দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে বিসর্জন দিয়ে এসব সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে ভারতের দাসত্বের ফাঁদে দীর্ঘদিনের জন্য বাংলাদেশকে আটকে ফেলার নিন্দনীয় ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন শেখ হাসিনা। জাতীয় স্বার্থবিরোধী এ ধরনের চুক্তি জনগণ মেনে নেবে না।’
ফখরুল অভিযোগ করেন, গণম্যান্ডেট ছাড়াই শেখ হাসিনা দেশ ও জনগণের কল্যাণের পরিবর্তে রাষ্ট্রক্ষমতার ওপর আওয়ামী লীগের অবৈধ নিয়ন্ত্রণ সম্প্রসারণের বিনিময়ে ভারতকে ঘুষ হিসেবে রাষ্ট্রবিরোধী সমঝোতা স্মারকে সই করেছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দাবি জানাচ্ছি, ভারতের সঙ্গে সম্পাদিত সব চুক্তি অবিলম্বে জনসমক্ষে প্রকাশ করতে হবে। আমরা আবারও বলতে চাই, সার্বভৌমত্ব, জাতীয় স্বার্থ ও জাতীয় নিরাপত্তার পরিপন্থী এসব চুক্তি জনগণ কখনোই মেনে নেবে না। বিএনপি এসব দেশবিরোধী চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক প্রত্যাখ্যান করে।’
গত ২১ জুন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারত যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সফরের দ্বিতীয় দিনে, ঢাকা ও নয়াদিল্লি ১০টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করে যার মধ্যে সাতটি নতুন এবং তিনটি প্রতিবেশী দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সম্পর্ককে আরও সংহত করতে পুনর্নবীকরণ করা হয়।
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ‘চিকেনস নেক’ নামে পরিচিত শিলিগুড়ি করিডোর দিয়ে ২২ কিলোমিটার পথ বাইপাস করে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে ভারতীয় রেলপথকে সংযুক্ত করতে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে রেলপথ স্থাপন করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।