জুমবাংলা ডেস্ক : পর্যটকের ঢল নেমেছে সৈকতের শহর কক্সবাজারে। ভরা পর্যটন মৌসুমের পাশাপাশি শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় কক্সবাজার লাখো পর্যটকের পদচারণায় আনন্দ-উচ্ছ্বাসের নগরীতে পরিণত হয়েছে কক্সবাজার।
পর্যটকদের বাঁধভাঙা আনন্দের ঢেউ যেন আঁচড়ে পড়েছে বালিয়াড়ির সৈকতে। কানায় কানায় পূর্ণ সাগর তীর। খালি নেই ৫ শতাধিক হোটেল-মোটেলের কোনো কক্ষ। কাঙ্ক্ষিত সংখ্যক পর্যটক সমাগম ঘটায় খুশি পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।
সাগরের নীল জলরাশি আর বালিয়াড়ির সৈকতে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন হাজারো মানুষ। সৈকতজুড়ে বাঁধভেঙে পড়েছে পর্যটকদের আনন্দ-উচ্ছ্বাসের ঢেউ। নানা বয়সি পর্যটকের আনাগোনায় পুরো সৈকত যেন রূপ নিয়েছে জনসমুদ্রে।
ঢাকার মিরপুর থেকে আসা পর্যটক রিপন জানান, সমুদ্র তীরে শীতের আবহ আর নেই। নেই গরমের ভাবও। এ সময় সমুদ্র উপভোগ যেন ভিন্ন এক আনন্দের। পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে ভ্রমণ খুবই মজার হচ্ছে।
সিজার আহমেদ নামের এক পর্যটক বলেন, এখন সমুদ্র শান্ত। এখানে নোনাজলে শরীর ভেজা আর সৈকতে ঘোরা-ফেরা খুবই আনন্দের। তাই বারবার কক্সবাজার আসতে মন চায়।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সদস্য আব্দুর রহমান জানান, কক্সবাজার সৈকতের নিকটবর্তী ৫ শতাধিক হোটেলে-মোটেলের কোনো কক্ষ খালি নেই। হোটেলের কক্ষ খালি না পেয়ে অনেকে ছুটছেন শহরের দিকে। শুক্রবার কক্সবাজারে অন্তত সোয়া লাখের বেশি পর্যটক সমাগম ঘটেছে। এতে সব ক’টি হোটেল-মোটেলের কক্ষ শতভাগ বুকিং রয়েছে। আগামী মার্চে রমজানের আগ পর্যন্ত পর্যটক আগমনের এ চিত্র অব্যাহত থাকবে।
সৈকতের লাবণী পয়েন্টে দায়িত্বরত ট্যুরিস্ট পুলিশের উপপরিদর্শক শাহ আলী জানান, আগত পর্যটকদের নিরাপত্তা ও হয়রানিরোধে সার্বিক ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ। পর্যটকের ভ্রমণ নির্বিঘ্ন করতে তারা সার্বক্ষণিক তৎপর রয়েছেন।
তিনি বলেন, কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের পাশাপাশি পর্যটকরা ঘুরে বেড়াচ্ছেন শহরের বার্মিজ মার্কেট, নান্দনিক সৌন্দর্যের মেরিন ড্রাইভ, হিমছড়ি ঝরনা, ইনানী ও পাথুয়ারটেকের পাথুরে সৈকত, মহেশখালীর আদিনাথ মন্দির, রামুর বৌদ্ধ বিহার, ডুলহাজারা সাফারি পার্ক এবং প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনসহ বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।