স্পোর্টস ডেস্ক: ১০ জনের এ্যাথলেটিকো মাদ্রিদকে ২-০ গোলে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ১৬ নিশ্চিত করেছে লিভারপুল। এ্যানফিল্ডের এই জয়ে দুই ম্যাচ হাতে রেখেই গ্রুপ-বি’র শীর্ষ দল হিসেবে লিভারপুলের নক আউট পর্বের টিকিট নিশ্চিত হয়।
এ্যানফিল্ডে কাল ম্যাচের ২১ মিনিটের মধ্যে জয়সূচক দুই গোল করেছেন দিয়োগো জোতা ও সাদিও মানে। মানেকে ফাউলের অপরাধে ৩৬ মিনিটে সরাসরি লাল কার্ড দেখে মাঠ ত্যাগে বাধ্য হন এ্যাথলেটিকোর ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার ফিলিপ। যে কারনে স্প্যানিশ জায়ান্টদের আর ম্যাচে ফেরা সম্ভব হয়নি।
চার ম্যাচে শতভাগ জয় নিয়ে লিভারপুলের শেষ ১৬ নিশ্চিত হয়েছে। সব ধরনের প্রতিযোগিতায় এনিয়ে রেডসরা ক্লাব রেকর্ড ২৫ ম্যাচে অপরাজিত থাকলো। গত মৌসুমের শেষ থেকে তাদের এই জয়ের ধারা শুরু হয়েছে। পোর্তো, এসি মিলান ও এ্যাথলেটিকো মাদ্রিদের সাথে অপেক্ষাকৃত কঠিন গ্রুপে থেকেও কিছুটা আগেভাগেই শেষ ১৬ নিশ্চিত করায় ২০১৯ সালের বিজয়ী লিভারপুলকে এখন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের ফেবারিট মানা হচ্ছে।
কাল ম্যাচ শেষে লিভারপুল বস জার্গেন ক্লপ বলেছেন, ‘আমাদের প্রথম লক্ষ্য ছিল গ্রুপ পর্ব পার করা, দুই ম্যাচ হাতে রেখে আমরা সেটা সম্পন্ন করেছি। গ্রুপ পর্বটা এ পর্যন্ত দুর্দান্ত ছিল। ড্র দেখার পর আমি এতটা প্রত্যাশা করিনি। আজকের রাতের মত কাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু আমরা সবাই জানি এখনো দুটি ম্যাচ বাকি আছে। সেগুলোতে জয় পেতে সবকিছু করার চেষ্টা আমরা করবো।’
অন্যদিকে পোর্তোর থেকে এক পয়েন্ট পিছিয়ে গ্রুপের তৃতীয় স্থানে রয়েছে এ্যাথলেটিকো। নক আউট পর্বে যেতে হলে বাকি দুই ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই। ম্যাচ শেষে এ্যাথলেটিকো কোচ দিয়েগো সিমিওনে বলেছেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের জন্য সব কিছুই কঠিন হয়ে পড়েছে। এখন আমাদের দায়িত্ব সবকিছুতে উন্নতি করা। আমাদের সামনে এখনো দুটি বড় ম্যাচ অপেক্ষা করছে।’
২০ মাস আগে এ্যানফিল্ডে যখন দুই দল সর্বশেষ একে অপরের মোকাবেলা করেছিল তখন এ্যাথলেটিকো নাটকীয় ভাবে অতিরিক্ত সময়ের ম্যাচে জয়ী হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছিল। দুই সপ্তাহ আগে অবশ্য স্প্যানিশ রাজধানীতে রেডসরা ৩-২ গোলের জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল।
বিরতির আগেই ২-০ গোলে পিছিয়ে থাকা এ্যাথলেটিকোর জন্য ম্যাচে ফিরে আসাটা কঠিন ছিল। বিশেষ করে ৩৬ মিনিটের পর থেকে ১০ জনের দল নিয়ে উজ্জীবিত লিভারপুলের সামনে মাঠে টিকে থাকাই অসহনীয় হয়ে পড়ে সিমিওনের শিষ্যদের। ১৩ মিনিটে ট্রেন্ট আলেক্সান্দার-আর্নল্ডের ক্রসে জোতার হেডে এগিয়ে যায় লিভারপুল। আলেক্সান্দার-আর্নল্ড লিভারপুলের দ্বিতীয় গোলেও সহায়তা করেছেন। তার শট এ্যাথলেটিকো গোলরক্ষক ইয়ান ওবলাক রুখে দিলে ফিরতি শটে তা জালে জড়ান মানে। ৩৬ মিনিটে কাউন্টার এ্যাটাক থেকে মানেকে রুখতে গিয়ে ফিলিপকে লাল কার্ড দেখান ডাচ রেফারি ড্যানি ম্যাককিলি। পরে ভিএআর প্রযুক্তি এই সিদ্ধান্তে অটল থাকে। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।