এমন পরিচয় নিয়ে গতকাল বুধবার টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক (ডিসি) কার্যালয়ে প্রতারণা করতে গিয়ে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন দুই প্রতারক। তারা হলেন- আশরাফ আলী ও তার সহযোগী মুমিন আকন্দ। এদের মধ্যে আশরাফ নিজেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পরিচয়ে পরিচিত করতেন।
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে আশরাফ আলী খানকে এক বছর এবং মুমিন আকন্দকে এক মাসের কারাদণ্ড দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুখময় সরকার।
আশরাফ আলীর বাড়ি দিনাজপুরের খানসাবা উপজেলার পাঠানপাড়া গ্রামে। তার সহযোগী মোমিনের বাড়ি গাজীপুরের কালিগঞ্জ উপজেলার উত্তর খইবাড়া গ্রামে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুখময় সরকার জানান, আশরাফ আলী বিভিন্ন চাকরি প্রত্যাশীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে প্রতারণার উদ্দেশ্যে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আসেন। তিনি নিজেকে যুগ্ম সচিব পরিচয় দিয়ে জেলা প্রশাসক শহীদুল ইসলামের সঙ্গে দেখা করতে চান। গণশুনানি চলাকালে আশরাফ নিজেকে যুগ্ম সচিব পরিচয় দিলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের গোপনীয় শাখার কর্মচারীরা তাকে সন্দেহ করেন। পরে আশরাফ আলীকে তারা বসিয়ে রাখতে চাইলে তিনি উত্তেজিত হয়ে উঠেন। একপর্যায়ে গোপনীয় শাখার কর্মচারীদের হুমকি দেন তিনি।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরও জানান, ওই ঘটনার পর জোর করে ওই ব্যক্তি জেলা প্রশাসকের কক্ষে গিয়ে তার সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। জেলা প্রশাসকের সন্দেহ হলে তিনি পুলিশে খবর দেন। পরে আশরাফ আলীর জিজ্ঞাসাবাদে বাইরে অবস্থানরত তার সহযোগীকে আটক করে পুলিশ।
জিজ্ঞাসাবাদে আশরাফ আলী জানান, তিনি বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে চাকরির কথা বলে টাকা নেন। গত তিন মাসে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন কার্যালয়ে যান তিনি ও তার সহযোগী। কখনো যুগ্ম সচিব, কখনো বিচারপতির ভাই, আবার কখনো রাজনৈতিক নেতার এপিএস পরিচয় দিতেন তারা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।