জুমবাংলা ডেস্ক : উপকূলে তাণ্ডব চালিয়ে ঘূর্ণিঝড় রেমালের কেন্দ্রভাগ ঢাকায় ঢুকবে বিকেলে। এ সময় বাতাসের গতিবেগ থাকবে সর্বোচ্চ ৪০ কিলোমিটার।
সোমবার (২৭ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় অধিদপ্তরের পরিচালক মোঃ আজিজুর রহমান ঘূর্ণিঝড় নিয়ে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
আজিজুর রহমান বলেন, রেমালের কেন্দ্রভাগ বিকেল ৩টা থেকে ৪টার মধ্যে ঢাকার দিকে আসবে। এটা এখন অনেকটা গভীর নিম্নচাপে পরিণত হচ্ছে। এর ফলে ঢাকায় আরও বৃষ্টি হবে। সেইসঙ্গে ঝোড়ো বাতাস বইবে। ঢাকা শেষে পর্যায়ক্রমে সিলেট দিয়ে বাংলাদেশের বাইরে যাবে। ঢাকায় পৌঁছালে বৃষ্টিপাত আর দমকা বাতাস একটু বাড়তে পারে।
তিনি বলেন, রেমাল সারা রাত তাণ্ডব চালিয়েছে। এর অগ্রভাগ দুপুরে উপকূলে আসে। মধ্যরাতে কেন্দ্র ওপরে উঠে আসে। এরপর ৫ থেকে ৭ ঘণ্টা ধরে সে পুরোটা ওপরে উঠে আসে। ৬টার আগেই উপকূলে উঠে আসে। এখন সাইক্লোন থেকে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি উপকূলের পুরোটা অংশ পেয়েছে। কক্সবাজারের কয়েকটা এলাকা পানিতে ডুবে গেছে।
তিনি আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি আগামীকালের মধ্যে আরও দুর্বল হয়ে বৃষ্টি দিয়ে একই দিক দিয়ে নিম্নচাপ আকারে আসামের দিকে চলে যাবে।
আজিজুর রহমান বলেন, রেমাল গতকাল সন্ধ্যার দিকে উপকূলের মোংলা ও ভারতীয় সাগর আইল্যান্ডে দিয়ে বাংলাদেশ অতিক্রম শুরু করে। এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি ছিল পটুয়াখালীর খেপুপাড়াতে। ঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল পটুয়াখালীর খেপুপাড়াতে ১১১ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। রাত ১টা ৩০ মিনিটে এটা রেকর্ড করা হয়েছে। আর সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে চট্টগ্রামে ২০৩ মিলিমিটার। বাতাসের গতিবেগ দেখে বোঝা যাচ্ছে রেমাল পটুয়াখালী ও খেপুপাড়া অঞ্চলে বেশি সময় স্থায়ী ছিল। এটির বড় অংশ এই অঞ্চল দিয়ে পার হয়েছে।
এর আগে পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ (দশ) নম্বর মহাবিপৎসংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়। এ ছাড়া কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৯ (নয়) নম্বর মহাবিপৎসংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে আগামীকাল মঙ্গলবার (২৮ মে) সকাল পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে এবং সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে দেশের বিভিন্ন জেলায় হালকা থেকে ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। সঙ্গে চলছে তীব্র ঝোড়ো হাওয়া। উপকূলের বিভিন্ন এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে জলোচ্ছ্বাস। ফলে বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে ঢুকেছে জোয়ারের পানি। এ ছাড়া ঝড়ের দাপটে ভেঙে পড়েছে কাঁচা ঘরবাড়ি ও গাছপালা। এরইমধ্যে রিমালের আঘাতে পটুয়াখালী, ভোলা, সাতক্ষীরা, চট্টগ্রাম ও বরিশালে অন্তত ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।