স্পোর্টস ডেস্ক: চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটিকে ১-০ গোলে হারিয়ে নতুন কোচ নুনো এস্পিরিটো সান্টোকে প্রিমিয়ার লিগে দারুন সূচনা উপহার দিয়েছে হ্যারি কেন বিহীন টটেনহ্যাম হটস্পার।
দল ছাড়ার একেবারে দ্বারপ্রান্তে থাকা ইংলিশ অধিনায়ক কেনকে কাল দলের বাইরে রেখেই মূল একাদশ সাজিয়েছিলেন নুনো। ট্রান্সফার মার্কেটে জোড় গুঞ্জন রয়েছে কেন সিটিতে নাম লেখাতে যাচ্ছেন। যদিও আনুষ্ঠানিক ভাবে এ ব্যপারে এখনো উভয় ক্লাবের পক্ষ থেকে কোন কিছু জানা যায়নি। ইতোমধ্যেই সিটি আরেক উঠতি ইংলিশ তারকা জ্যাক গ্রীলিশকে দলে ভেড়ানোর জন্য ১০০ মিলিয়ন পাউন্ড ব্যয় করে ফেলেছে। চলতি মাসের শেষে কেনকে দলভূক্ত করে প্রিমিয়ার লিগের ট্রান্সফার মার্কেটে আরো একটি রেকর্ড গড়তে চায় সিটিজেনরা।
স্পার্স এই তারকা স্ট্রাইকার লন্ডনের টটেনহ্যাম স্টেডিয়ামে আনলেও মাঠে ছিলেন না। প্রাক-মৌসুম অনুশীলনে কিছুটা দেরীতে যোগ দেয়ায় কেনের দলবদলের বিষয়টি অনেকটাই সুস্পষ্ট হয়ে উঠেছে। অন্তত ক্যারিয়ারে একটি লিগ শিরোপা নিজের ঝুলিতে রাখতে চান কেন। আর সে কারনেই ২৮ বছর বয়সী এই তারকা স্ট্রাইকারের জন্য সিটিই সেরা দল হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।
কাল ম্যাচ শুরুর প্রথম ১০ মিনিটে পেপ গার্দিওলার দল ভালই আধিপত্য দেখিয়েছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে তাদের সেই দাপট স্তিমিত হয়ে পড়ে। এ নিযে কোন গোল করা ছাড়াই টটেহ্যাম স্টেডিয়ামে শেষ চারটি ম্যাচেই চারটিতেই পরাজিত হলো সিটি। টটেহ্যামের ইংলিশ স্ট্রাইকার অলিভার স্কিপের ফাউলে অল্পের জন্য গ্রীলিশ পেনাল্টি পাননি। অন্যদিকে ইকে গুনডোগানের ফ্রি-কিক ডিফ্লেকটেড হয়ে অল্পের জন্য পোস্টের বাইরে দিয়ে চলে যায়। ফার্নান্দিনহোর হেডও গোলের ঠিকানা খুঁজে পায়নি। স্পার্স গোলরক্ষক হুগো লোরিসও বেশ কয়েকবার দলকে রক্ষা করেছেন। হুয়াও ক্যান্সেলো ও রিয়াদ মাহারেজ দুটো ভাল সুযোগ হাতছাড়া করেছেন।
কাল মাঠে পুরো ৬২ হাজার আসনই দর্শকে পরিপূণ ছিল। আর স্বাগতিক হিসেবে তাই স্পার্স বাড়তি সুবিধা দারুনভাবে উপভোগ করেছে। সিটির বদলে যাওয়া রক্ষনভাগ স্পার্সদের আটকাতে বেশ সমস্যায় পড়েছিল। প্রাক-মৌসুম অনুশীলন ভালভাবে করতে না পারায় ইংল্যান্ডের দুই খেলোয়াড় জন স্টোনস ও কাইল ওয়াকারকে দলের বাইরে রেখেছিলেন গার্দিওলা। সিটির রক্ষনভাগে নাথান আকে ও বেঞ্জামিন মেন্ডির উপরই ভরসা রেখেছিলেন গার্দিওলা।
বিরতির ঠিক আগে দক্ষিণ কোরিয়ান তারকা সন হেয়াং মিনের শট ডিফ্লেকটেড হয়ে বাইরে চলে যায়। ৫৫ মিনিটে আকেকে কাটিয়ে দারুন এক লো শটে এই সনই শেষ পর্যন্ত টটেনহ্যামকে জয় উপহার দেন। সিটিজেনদের বিপক্ষে এটি সনের সপ্তম গোল। পরের মিনিটে কাউন্টার এ্যাটাক থেকে স্টিভেন বার্গউইন ব্যবধান দ্বিগুন করার দারুন একটি সুযোগ হাতছাড়া করেন। ম্যাচ শেষের ২০ মিনিট আগে অবশেষে গার্দিওলা কেভিন ডি ব্রুইনা, গ্যাব্রিয়েল জেসুস ও ওলেকসান্দ্রা জিনচেনকোকে মাঠে নামান। ডি ব্রুইনা লোরিসকে কিছুটা পরীক্ষার মধ্যে ফেললেও শেষ পর্যন্ত তা কাজে আসেনি। স্টপেজ টাইমে লুকাস মৌরাকে ফাউলের অপরাধে হলুদ কার্ড দেখেন গ্রীলিশ।
গত মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে চেলসির কাছে ১-০ গোলে পরাজিত হবার পর শেষ তিনটি প্রতিযোগীতামূলক ম্যাচে সিটি পরাজিত হলো। গত সপ্তাহে কমিউনিটি শিল্ডেও তারা লিস্টারের কাছে পরাজিত হয়েছে। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।