জুমবাংলা ডেস্ক : ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে অন্তঃসত্ত্বা নারীর সিজারের পরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ ঘটনায় হাসপাতালের গাইনি বিভাগের ওটিসহ পুরো বিভাগ লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
হাসপাতালে আসা একজন প্রসূতির সিজারিয়ান অপারেশনের পর তার দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ায় গাইনি বিভাগের অপারেশন থিয়েটারসহ (ওটি) পুরো বিভাগ লকডাউন করা হয়।
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শফিকুল ইসলাম সজিব বলেন, ‘টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাঘিল থেকে সন্তানসম্ভবা একজন নারী গত শনিবার হাসপাতালের গাইনি বিভাগে ভর্তি হন। তার ঠাণ্ডার সমস্যা ছিল। তাকে সিজার করা হয়। পরে তার নমুনা সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। গতকাল মঙ্গলবার তার করোনা পজেটিভ আসে। ফলে আজ বুধবার দুপুরে গাইনি বিভাগ লকডাউন করা হয়।’
ডা. শফিকুল ইসলাম সজিব বলেন, ‘একইসঙ্গে ওই সিজার করার সময় উপস্থিত থাকা ডাক্তার, নার্সসহ সংশ্লিষ্ট সবার এবং তাদের সংস্পর্শে আসা বাকি সবার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। সেই প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘লকডাউন থাকা অবস্থায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগে প্রসূতি সেবা দেওয়া হবে। এ ছাড়া টাঙ্গাইল মেটারনিটি হাসপাতালে প্রসূতি সেবা দেওয়া হবে।’
এদিকে ওই নারী সিজারের পর হাসপাতাল থেকে বাঘিল স্বামীর বাড়ি না গিয়ে একই উপজেলার করটিয়া ইউনিয়নের তারটিয়া গ্রামে মায়ের কাছে চলে যায়। উপজেলা প্রশাসন সেই বাড়িটিও লকডাউন করেছে। সেই সঙ্গে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই বাড়িতে শিশুর জন্য গুড়ো দুধসহ প্রয়োজনীয় ত্রাণ সামগ্রী প্রদান করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গতকাল মঙ্গলবার সকালে ২১ বছরের ওই নারীর করোনা টেস্ট পজিটিভ আসে। আর তার ঠিকানা লেখা ছিল শুধুমাত্র বাঘিল, সঙ্গে একটি মোবাইল নাম্বার। সেই মোবাইল নাম্বারে সকাল থেকে সারা দিন ফোন দিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। পরে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ, স্বাস্থ্য বিভাগ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, মেম্বার স্বাস্থ্য বিভাগের মাঠকর্মীরা হন্য হয়ে তাকে গ্রামে গ্রামে খুঁজেও পায়নি।
পুলিশ মোবাইল ট্র্যাকিং করে সখীপুরের নলুয়া অবস্থান করছে বলে জানতে পারে। কিন্তু সেখানেও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে রাত ১০টায় সদর থানা পুলিশ ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে পুনরায় জানতে পারে ওই নারী সদর উপজেলার করটিয়া ইউনিয়নের তারটিয়া গ্রামে অবস্থান করছে। পরে সেখানে গিয়ে ওই নারীকে পাওয়া যায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।