জুমবাংলা ডেস্ক : কুষ্টিয়ার খোকসায় এক স্কুলছাত্রীকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। স্থানীদের এবং নিহতের পরিবারের দাবি, স্কুলছাত্রী পূজাকে হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায় ওই স্কুলছাত্রীর সৎ মামা প্রদীপ কুমার।
হত্যার শিকার পূজা রাণী শোমসপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিলো।
মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) বিকেলে পূজার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন খোকসা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মজিবুর মুজিব।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শোমসপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী পূজা রানী মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) দুপুরে নিজের ঘরের মেঝেতে বসে দুপুরের খাবার খাচ্ছিল। এ সময় সৎ মায়ের ভাই প্রদীপ পেছন থেকে স্কুল ছাত্রীর মাথায় হাতুড়ি দিয়ে হামলা করে। স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু নিশ্চিত বুঝে ঘাতক মামা পালিয়ে যান। এ সময় স্কুল ছাত্রীর বাড়িতে অন্য কেউ উপস্থিত ছিলেন না। পরে থানা পুলিশ তার মৃতদেহ উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
নিহত স্কুলছাত্রী পূজা উপজেলার কাদিরপুর গ্রামের মুদিদোকানী গৌতম কুমার দেব ওরফে হারু একমাত্র মেয়ে। ঘাতক মামা প্রদীপকে কুমারখালী থানা পুলিশ আটক করেছে বলে কুষ্টিয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান।
স্কুল ছাত্রীর সৎ মা সুচিত্রার দাবি, তিনি প্রতিদিনের মত মঙ্গলবার দুপুরে স্বামীর খাবার নিয়ে শোমসপুর বাজারে যান। এ সময় পূজা এক বান্ধবীর সাথে বাড়িতে গোসল করছিল। তিনি বাড়ি ফিরে মেয়েকে আর দেখেননি। শুনেছেন মেয়েকে (পূজা) কে হত্যা করে ঘরে ফেলে গেছে।
নিহত ছাত্রীর বাবা গৌতম কুমার দেব ওরফে হারু দাবি করেন, পরিকল্পিতভাবে সৎ মা তার ভাইকে দিয়ে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। তিনি এ ঘটনায় মামলা করবেন।
খোকসা থানার অফিসার ইনচার্জ মজিবুর রহমান বলেন, স্থানীয়সূত্রে সংবাদ পেয়ে পুলিশ ওই স্কুলছাত্রীর রক্তাক্ত্ব লাশ উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মেয়েটিকে পেছন থেকে ধাতব কোনো কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। রক্তক্ষরণে মেয়েটি মারা যেতে পারে বলে মনে হচ্ছে।
ওসি আরও বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর বিস্তারিত জানা যাবে। আর ধর্ষণের শিকার হয়েছে কী না তা জানা যাবে মেডিকেল রিপোর্টের পর।
এদিকে পরিবারের দাবি, পূজার মা মারা যাওয়ার পর তার বাবা গৌতম কুমার দেব বিয়ে করেন সুচিত্রা রাণীকে। সুচিত্রাকে বিয়ে করার পরপরই পূজাকে নানাভাবে নির্যাতন করত তার সৎ মা ও সৎ মায়ের ভাই প্রদীপ কুমার। তারা আরও জানায়, এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের সাথে সৎ মা ও সৎ মামা জড়িত। তারা ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।