জুমবাংলা ডেস্ক: চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার বিনন্দপুর গ্রামে সরকারি প্রাথমিক স্কুলের নতুন একাডেমিক ভবন নির্মাণের জন্য পাশের কবরস্থানের প্রায় ৫০টি কবর উচ্ছেদ করা হয়েছে। খবর ইউএনবি’র।
স্কুলের পর্যাপ্ত জায়গা থাকা সত্ত্বেও অনৈতিকভাবে ও বিনা অনুমতিতে কবর উচ্ছেদ ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হিসেবে দেখছেন অনেকে। কবরস্থান দখল হওয়া নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ নিয়ে যেকোনো সময় বড় ধরনের সহিংসতা ঘটার আশংকা করছে এলাকাবাসী।
সোমবার বিনন্দপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভবন নির্মাণ করার জন্য পুরাতন টিনশেড ভবনটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। ওই স্থানে নতুন ভবন নির্মাণ করার কথা থাকলেও নতুন ভবন নির্মাণের করার লক্ষ্যে পাইলিংয়ের জন্য উত্তর ও পূর্ব পাশে অবস্থিত কবরস্থানের প্রায় ৫০টি কবর ভেকু মেশিন দিয়ে উচ্ছেদ করে ফেলা হয়েছে।
এ ঘটনা কেন্দ্র করে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। লাঠিসোটা নিয়ে কাজ স্থাগিত রাখার দাবিতে এলাকার শত শত নারী পুরুষ জড়ো হন। পরে, কর্তৃপক্ষ কাজ স্থগিত করার পর পরিস্থিতি শান্ত হয় ।
স্থানীয় মিজানুর রহমান মানিক, চায়না বেগম, মাহমুদা, স্বপ্না, রফিকুল ইসলাম ঢালী, জামশেদ মিয়া, দবির হোসেন, দুলাল, রোজিনা, দিপু সরকার গং ও সুমনের সাথে কথা হলে তারা জানান, স্কুলের জন্য নির্দিষ্ট ৩৩ শতাংশ জায়গা রয়েছে। সেই জায়গায় ভবন না করে একটি মহল ষড়যন্ত্র করে রাতের আঁধারে কবরগুলো উচ্ছেদ করেছে।
স্কুলের উন্নয়ন হোক তা আমরাও চাই। কিন্তু স্কুলের পর্যাপ্ত জায়গা থাকতে কেন কবরস্থানে ভবন করতে হবে, প্রশ্ন তোলেন তারা।
আমাদের দাদা-দাদী, নানা-নানি ও পিতা-মাতার কবর ধ্বংস করে ফেলেছে দাবি করে তারা আরও বলেন, স্কুলের কিছু জায়গা খালে পড়ে আছে। সেখানেই মাটি পরীক্ষা করা হয়েছে। কিন্তু ঠিকাদারের লাভের জন্য ওই খাল ভরাট না করে কবরস্থান দখল করেছে।
কবরস্থানে নতুন ভবন নির্মাণ হতে দেয়া হবে না জানিয়ে জায়গা পরিমাপ করে স্কুলের জায়গায় ভবন নির্মাণ করার দাবি জানান এলাকাবাসী।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের উপস্থিত প্রতিনিধিরা বলেন, আমাদের জানামতে ভবন যেখানে হওয়ার কথা সেখানেই কাজ চলছে। তবে ওপর থেকে নির্দেশ আসায় এখন কাজ স্থগিত রাখা হয়েছে, পরবর্তী সিদ্ধান্ত আসলে কাজ শুরু হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. ইকবাল হোসেন ভূঞা বলেন, ওই স্কুলে একটি ভবন হবে সেটা আমাদের কাছে তথ্য আছে। ভবনের জন্য পর্যাপ্ত জায়গা রয়েছে সেখানেই ভবন হবে। কবরস্থানে তো হওয়ার কথা নয়। এ বিষয়টি প্রকৌশল বিভাগকে অবহিত করার মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
যোগাযোগ করা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার বলেন, ‘আমি খবর পাওয়ার সাথে সাথে এলাকার লোকজনকে আসতে বলেছি। তারা আসলে উভয় পক্ষের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।