স্পোর্টস ডেস্ক : বহু চর্চিত পাওয়ার প্লেয়ার আপাতত নয়। তবে চমক অপেক্ষা করছে আইপিএলের আসন্ন মৌসুমে। ১৯ ডিসেম্বর কলকাতাতে বসবে এবারের আইপিএল নিলাম৷
ঘরোয়া ক্রিকেটে স্ট্র্যাটেজিক টাইম-আউটের মতো বিভিন্ন উদ্ভাবনী দিকের হদিস দিয়েছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়র লিগ। সেরকমই ফুটবলের ধাঁচে পরিবর্ত ক্রিকেটারের প্রবর্তন করার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল আইপিএলের আসন্ন মৌসুমে। যাকে পাওয়ার প্লেয়ার হিসেবে বর্ণনা করা হচ্ছিল। বিবেচনা থেকে একেবারে বাদ দেওয়া হচ্ছে না এই পাওয়ার প্লেয়ারের প্রসঙ্গ। তবে এখনই এমন পদক্ষেপ নিতে চাইছে না আইপিএলের গভর্নিং কাউন্সিল।
কেননা আইপিএলে প্রবর্তন করার আগে ঘরোয়া ক্রিকেটে তা পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করতে হবে বিসিসিআইকে। আর ক’দিনের মধ্যেই শুরু হতে চলা সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-২০’র আসরে ছাড়া পাওয়ার প্লেয়ারের পরীক্ষামূলক ব্যবহার করার সুযোগ পাবে না ভারতীয় বোর্ড। আর এত কম সময়ের মধ্যে সব কিছুর নিখুঁত পরিকল্পনা করে মুস্তাক আলি টি-২০’তে এমন পরিবর্তন করাও সম্ভব নয়। তাই এবারের মতো পাওয়ার প্লেয়ারের প্রস্তাব স্থগিত রাখতে চাইছে বিসিসিআই।
পাওয়ার প্লেয়ার দেখা না গেলেও আইপিএলের আসন্ন মৌসুমে একজন অতিরিক্ত আম্পায়ারের ব্যবহার করতে পারে বিসিসিআই। সাম্প্রতিক অতীতে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়র লিগে ভারতীয় আম্পায়ারদের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বারবার। নো-বল নিয়ে বিতর্ক হয়েছে বিস্তর। বিরাট কোহলিকে পর্যন্ত মাঠে আম্পায়ারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে। এমন অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়েই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড আইপিএলের আগামী মৌসুমে একজন বিশেষজ্ঞ নো-বল আম্পায়ারের বন্দোবস্ত করতে চলেছে। যাঁর কাজই হবে প্রতিটি বল বৈধ কিনা তা খতিয়ে দেখা। শুধুমাত্র নো-বল যাচাইয়ের ক্ষেত্রে এই বিশেষ আম্পায়ার ফিল্ড আম্পায়ারদের সাহায্য করবেন।
মঙ্গলবার আইপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠকে এই নিয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে বোর্ডের সভায় অনুমোদন জন্য পাঠানো হবে এই প্রস্তাব। বৈঠকে আইপিএল ফ্রাঞ্চাইজিগুলির বিভিন্ন দাবি নিয়েও আলোচনা হয়। ফ্রাঞ্চাইজিগুলির বিদেশে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার বিষয়েও বিস্তারিত পর্যালোচনা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।