জুমবাংলা ডেস্ক : খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় প্রতিবেশীকে মারধরের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় মো. আব্দুস সামাদ নামে এক ব্যক্তিকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সমাজসেবা অধিদফতরের ‘প্রি-সেন্টেন্স’ প্রতিবেদন অনুযায়ী ‘দ্য প্রবেশন অব অফেন্ডারস অর্ডিন্যান্স, ১৯৬০’ এর আওতায় তাকে পাঠানো হয়েছে তার নিজের বাড়িতে। আদালতের ব্যতিক্রমী এ রায়ে কারাগারের পরিবর্তে নিজ বাড়িতেই সাজা খাটবেন আসামি আবদুস সামাদ।
গত বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) খাগড়াছড়িতে এ রায়ের মাধ্যমে নজির সৃষ্টি করেছেন খাগড়াছড়ির জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. সামিউল আলম। আসামি মো. আবদুস সামাদের বাড়ি খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার বেলছড়ি ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের লাম্বাছড়া গ্রামে।
ব্যতিক্রমী এ রায়কে সাধুবাদ জানিয়ে আইনজীবীরা বলছেন, বিরল হলেও আদালতের এ রায় কোনোভাবেই আইনের ব্যত্যয় নয়। বরং কারাগারে না গিয়ে অপরাধীদের সংস্পর্শ থেকে দূরে থেকে সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি আদালতের দেয়া শর্ত মেনে নিজেকে সংশোধন করার সুযোগ পাবেন।
আসামিকে জেল হাজতে না পাঠিয়ে কারাদণ্ড স্থগিত রেখে সমাজ সেবা কার্যালয়ের প্রবেশন অফিসারের কাছে প্রি-সেন্টেস রিপোর্ট তলব করেন আদালত। জেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ের প্রবেশন অফিসার গত ২ জানুয়ারি আসামি সামাদের অপরাধ ‘দি প্রবেশন অব অপেন্ডারস অ্যাক্ট, ১৯৬০ এর ৪(১)’ ধারা মতে, পারিবারিক ও সামাজিক অবস্থা বিবেচনা করে, মামলাটি প্রবেশনযোগ্য বলে জানান। সেই প্রতিবেদন গ্রহণ করে আদালত জানান কারাদণ্ডকালীন ছয় মাস ১১ শর্ত মেনে বাড়িতেই থাকবেন সামাদ।
খাগড়াছড়ি আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আকতার উদ্দিন মামুন এ রায়কে স্বাগত জানিয়ে বলেন, বিচারক সামিউল আলম শুধু প্রবেশন সংক্রান্ত হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুসরণ করেননি, তিনি কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে জেলখানার অপরাধীদের সংস্পর্শ থেকে বাঁচিয়েছেন। এতে ভবিষ্যতে আরও বড় অপরাধে জড়িত হওয়ার হাত থেকে তাকে রক্ষা করেছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।