জুমবাংলা ডেস্ক : হামলার সময় হীরা মিয়া বারবার বলছিলেন ‘আমি তিন দিন ধরে খাই না, উপোস; আমাকে মারিস না’। ময়মনসিংহের গৌরীপুর পৌরসভার পশ্চিম দাপুনিয়ায় আহত ছেলের ওষুধ আনতে গিয়ে প্রতিবেশীর ধারালো অস্ত্রে গুরুতর জখম হন হীরা মিয়া (৩৫)। মৃত্যুর আগে এমন আকুতি করেও শেষ রক্ষা হয়নি তার।
রবিবার (১৯ জানুয়ারি) ভোরে চিকিৎসাধীন ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান তিনি।
হীরা মিয়ার জীবনযুদ্ধের এমন বর্ণনা দিতে গিয়ে এ কথা বললেন গৌরীপুর পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর আবদুল হালিম। নিহত হীরা মিয়ার পিতার নাম মৃত আবু তালেব। গত ১২ জানুয়ারি প্রতিবেশী লাল মিয়ার ছেলে পিয়ালের (১২) সঙ্গে খেলা নিয়ে হীরা মিয়ার ছেলে জিহানের (৮) কথা কাটাকাটি হয়। পিয়াল এ সময় জিহানকে মারধর করে। ওই দিন রাতে জিহানের জন্য ওষুধ আনতে যাওয়ার পথে লাল মিয়া ও তার পরিবারের সদস্যরা হীরা মিয়ার গতিরোধ করে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। তার চিৎকারে ছোট ভাই মানিক মিয়া (৩০) ভাইকে বাঁচাতে গেলে তাকেও কুপিয়ে আহত করা হয় বলে জানায় প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র।
গুরুতর অবস্থায় আহত দুই ভাইকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হীরার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকায়। চিকিৎসাধীন রবিবার ভোরে ঢাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি মারা যান। নিহতের স্ত্রী নাজমা আক্তার স্বামীর মৃত্যুর খবরে জ্ঞান হারান। প্রায় ৩-৪ ঘণ্টা পর জ্ঞান ফিরে এলেও এখন রয়েছেন বাকরুদ্ধ। ছেলে হত্যার বিচার চেয়ে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন তার মা আম্বিয়া খাতুন। নিহতের ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান গৌরীপুর থানার ওসি মো. বোরহান উদ্দিন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।