জুমবাংলা ডেস্ক : আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী ৮ম এশিয়ান ট্যুরিজম ফেয়ার। এ উপলক্ষ্যে রাজধানীর এক হোটেলে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। মেলার আয়োজক পর্যটন বিচিত্রা।
গতকাল মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের পরিচালক আবদুস সামাদ।
পর্যটন করপোরেশনের পরিচালক আবদুস সামাদ বলেন, ‘পর্যটন একটি মহুমাত্রিক শিল্প। বিশ্বে পর্যটন শিল্পে বাংলাদেশের অংশিদারিত্ব এবং অংশগ্রণ হয়তো কাঙ্খিত মাত্রায় এখনও পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। তবে, সরকার এ সেক্টরের উন্নয়নে কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন ও বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড কাজ করছে। আমাদের ন্যাশন্যাল হোটেল এবং ট্যুরিজম ট্রেনিং ইনিস্টিটিউটে এ পর্যন্ত ৫০ হাজার জনকে প্রশিক্ষণ দেয় হয়েছে। তারা দেশে এবং বিদেশে ভালো অবস্থানে রয়েছেন ‘
আবদুস সামাদ বলেন, ‘ভবিষ্যতে উন্নয়নে কাজের সুযোগ পর্যটন এই স্লোগানকে সামনে রেখে বিশ্বে এবার পর্যটন দিবস পালিত হবে। এক প্রশ্নের জাবাবে তিনি বলেন, সারাদেশের পর্যটন করপোরেশনের ৪১টি হোটেল মোটেল আছে।
মেলা আয়োজক কমিটির সভাপতি মহিউদ্দিন হেলাল বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে এশিয়ার অন্যন্য দেশের সঙ্গে কিভাবে একই সঙ্গে পর্যটন পণ্য ডেভলপ করা যায় সেটা আমাদের উদ্দেশ্য। আমরা মনে করি এই মেলার মধ্যে সাংস্কৃতিক আদান প্রদান বাড়বে। সচেতনতা তৈরি করবে আমাদের মধ্যে।
তিনি বলেন, আমরা জেনেছি ২০১৭ -২০১৮ সালে দুই লাখ ৮৫ হাজার জন ট্যুরিস্ট ভিসা নিয়ে বাংলাদেশে এসেছে।
ভবিষ্যতে এশিয়ান ট্যুরিজম ফেয়ার এশিয়ার অন্যদেশেরও আয়োজনের কথা জানান মহিউদ্দিন হেলাল। বলেন, আমরা ২০০৭ সাল থেকে এ মেলা করছি। তখন নাম ছিল ঢাকা ট্যুরিজম ফেয়ার। ২০১১ সালে নাম দেয়া হয় এশিয়ান ট্যুরিজম ফেয়ার। ২০২০ এ আমাদের পরিকল্পনা হলো এটা নিয়ে এশিয়ার অন্য দেশে মুভ করবো। বাংলাদেশেও হবে।
২৬-২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন দিনব্যাপী এশিয়ান ট্যুরিজম ফেয়ার ২০১৯ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় হবে। ২৬ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া এ মেলা সকাল ১০টা থেকে সন্ধা ৭টা পর্যন্ত চলবে। বংলাদেশসহ ভারত, নেপাল, ভূটান, চায়না, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড ও ফিলিপাইন এবং বিভিন্ন সংস্থার মোট ১৩০টি স্টল থাকবে।
মেলার আয়োজকরা জানান, দেশ ও বিদেশে বেড়ানোর বিভিন্ন আকর্ষণীয় ভ্রমণ অফার, হোটেল, রিসোর্ট বা প্যাকেজ বুকিংসহ বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা থাকবে মেলায়। মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো মধ্যে রয়েছে হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট, ট্যুর অপারেটর, ট্রাভেল শপ, থিমপার্কসহ বিনোদনের আরো অনেক প্রতিষ্ঠান।
মেলায় সহোযোগিতা করছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, বিমসটেক সচিবালয়, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন ও বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিমসটেক সচিবালয়ের পরিচালক ড. দামারু বাল্লাহ পাউডেল, ইন্দোনেশিয়া দূতাবাসের তৃতীয় সচিব মুর্নি নায়ারিস্তি প্রমুখ।
মেলায় দর্শনার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে কুড়িল বিশ্ব রোড থেকে মেলার ভেন্যু পর্যন্ত শাটল বাস সার্ভিসের ব্যবস্থা রাখছে আয়োজকরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।