জুমবাংলা ডেস্ক : কক্সবাজারে ভারী বৃষ্টিতে শরণার্থী শিবিরসহ উখিয়া, টেকনাফ ও মহেশখালীতে পাহাড় ধস, পানিতে ভেসে গিয়ে আর মাটির দেওয়াল চাপায় আটজন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৫ জন শিশু, ২ জন নারী ও ১ জন বৃদ্ধ রয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) সকালে ও দুপুরে উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের ১০ নম্বর ও ১৮ নম্বর রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির, টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মনিরঘোনা এলাকা এবং মহেশখালী উপজেলার ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের উত্তর সিপাহীর পাড়ায় পৃথক এ ঘটনা ঘটেছে।
এতে উখিয়ার রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে ৪ শিশুসহ ৬ জন, টেকনাফে একজন বৃদ্ধের এবং মহেশখালীতে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে।
অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. সামছু-দৌজা নয়ন জানিয়েছেন, মঙ্গলবার দুপুরে ভারী বৃষ্টিপাতে পাহাড় ধসে বসত ঘরে মাটি চাপায় উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের ১০ নম্বর শরণার্থী শিবিরে তিন শিশুসহ ৫ জন এবং ১৮ নম্বর শরণার্থী শিবিরে খালে পানির স্রোতে ভেসে গিয়ে ১ রোহিঙ্গা শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
পাহাড় ধসে নিহতরা হল, উখিয়ার ১০ নম্বর রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের জি-৩৭ ব্লকের বাসিন্দা শাহ আলমের স্ত্রী দিল বাহার (৪২) ও ছেলে শফিউল আলম (৯) এবং একই ক্যাম্পের জি-৩৮ ব্লকের বাসিন্দা মোহাম্মদ ইউসুফের স্ত্রী দিল বাহার (২৫), মেয়ে আয়েশা সিদ্দিকা (১) ও ছেলে আব্দুর রহমান ( আড়াই বছর)।
অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার সামছু-দৌজা বলেন, ‘দুপুরে উখিয়ার ১০ নম্বর রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে পাহাড়ের ঢালের নিচের ২/৩ টি বসতির ওপর মাটি ধসে পড়ে। এতে দুইটি পরিবারের ৩ শিশুসহ ৫ জন ঘটনাস্থলে মারা যায় এবং আহত হয় ২ জন। পরে খবর পেয়ে আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ানসহ স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে মাটি চাপা অবস্থায় ৫ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করে। এসময় আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় ক্লিনিকে ভর্তি করে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।