জুমবাংলা ডেস্ক : ফরিদপুরের সালথায় তাণ্ডবের ঘটনায় পুলিশের করা মামলার আসামি আবুল হোসেন আলীর (৪৫) মৃত্যুতে ফরিদপুর জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: জামাল পাশাকে প্রধান করে ৪ সদস্যর একটি তদন্ত কমিটি করা হয়।
রোববার (২ মে) এই কমিটি তাদের প্রতিবেদনটি জমা দেয়। তদন্ত প্রতিবেদনে ‘স্ট্রোকজনিত কারণে’ আসামির মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।
এর আগে পুলিশ হেফাজতে শনিবার (১ মে) ভোররাতে আবুলের মৃত্যু হয়। আর এ ঘটনায় কমিটিকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে রির্পোট প্রদান করার কথা বলা হয়েছিল। পরে রোববার (২ মে) তদন্ত কমিটি ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামানের কাছে তদন্ত রির্পোট জমা দেওয়া হয়।
আর এই তদন্ত রির্পোট নিয়ে রোববার বিকেলে জেলা পুলিশ কার্যালয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আলীমুজ্জামান এক সংবাদিক সম্মেলন করেন। সেখানে তিনি বলেন, যেহেতু পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে, সেহেতু ঘটনার পরপরই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জামাল পাশাকে প্রদান করে ৪ সদস্যর একটি তদন্ত কমিটি করা হয়। আর সেই কমিটিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রির্পোট দিতে বলা হয়েছিল।
তারা ঘটনা তদন্ত করে রির্পোট প্রদান করেছে। সেখানে তারা গারদে থাকা আরো ৯ জন আসামি ও দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যদের সাথে কথা বলেছেন। তারা তদন্ত করে পুলিশি নির্যাতন বা মানসিক কোন নির্যাতনের প্রমাণ পায়নি। তিনি বলেন ময়নাতদন্ত রির্পোট প্রাপ্তি শেষে আরো বিস্তারিত জানা যাবে।
উল্লেখ্য, সালথায় তাণ্ডবের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশের করা একটি মামলায় আবুল হোসেন আলীকে ১৬ এপ্রিল গ্রেপ্তার করা হয়। গত ২৮ এপ্রিল তাকে পাঁচ দিনের জন্য পুলিশ রিমান্ডে আনা হয়। তিনি রোববার ভোররাতে সেহরি খেয়ে নামাজ পড়ে টয়লেটে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং বমি করেন। পরে অসুস্থ অবস্থায় ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২৮ এপ্রিল আসামি মৃত আবুল হোসেন আলীর বড় ছেলে একটি মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনা নিয়ে তিনি মানসিকভাবে ভঙ্গুর অবস্থায় ছিলেন বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. গনেশ আগরওয়াল জানিয়েছেন, রোগীর গায়ে কোন ধরনের আঘাতের চিহ্ন বা অন্য কোন অস্বাভাবিকতা দেখা যায়নি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে স্ট্রোকজনিত কারণে স্বাভাবিক মৃত্যু হতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।