জুমবাংলা ডেস্ক: কুড়িগ্রামের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। পঞ্চম দফা বন্যায় জেলার ১৮ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমির ফসল ডুবে গেছে। এছাড়া বিভিন্ন নদ-নদীতে তীব্র ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। খবর ইউএনবি’র।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, মঙ্গলবার সকালে ধরলা নদীর পানি কিছুটা কমলেও তা বিপদ সীমার ২১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানিও বাড়ছে।
জেলায় দেড় শতাধিক চর ও চর সংলগ্ন নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকায় দিনমজুররা প্রায় ৩ মাস ধরে টানা কর্মহীন থাকায় খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। সাথে গোখাদ্যের সংকটও প্রকট হয়েছে।
ইতোমধ্যে ১৭ হাজার ৩৩৫ হেক্টর রোপা আমন, ৬৫৫ হেক্টর মাশকালাই, ৩৫০ হেক্টর শাকসবজি ও ৮০ হেক্টর চিনাবাদামের খেত বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। কৃষকরা ধারদেনা করে আবাদ করলেও বন্যায় সব নষ্ট হয়ে পড়েছে।
সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উমর ফারুক জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় তার ইউনিয়নের শুভারকুটি এলাকার পাঙারচরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের শহর রক্ষা বাঁধের ৩০০ মিটারের প্রায় ৫০ মিটার ধসে গেছে। এলাকার হাজার হাজার মানুষ নদী ভাঙনের আতঙ্কে রয়েছেন।
ফুলবাড়ী উপজেলার বড়ভিটা ও ভাঙামোড়, সদরের ভোগডাঙা, পাঁচগাছি ও মোগলবাসা, রাজারহাটের ছিনাই ও বিদ্যানন্দ এবং উলিপুর উপজেলার সাহেবের আলগা, বেগমগঞ্জ ও হাতিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে জানা গেছে, এ বছরের পঞ্চম দফা বন্যায় ধরলা ও ব্রহ্মপুত্র নদের অববাহিকায় চর ও দ্বীপচরের বানভাসী প্রায় অর্ধলক্ষাধিক মানুষের কষ্ট এখনও রয়েছে। দেখা দিয়েছে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট। চরগুলোতে বন্যার পানি থাকায় গবাদিপশু নিয়েও মানুষজন সংকটে পড়েছেন। দাম বেশি হওয়ায় গোখাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে।
উলিপুর উপজেলার বজরা এবং সদরের হলোখানা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জানান, তিস্তা ভাঙনে গোড়াই পিয়ার, চর বজরা এবং ধরলার ভাঙনে সারডোব ও জগমোহনের চরসহ বিভিন্ন এলাকায় নদ-নদীর ভাঙন আরও তীব্র হয়েছে। গত তিন দিনে আরও দুই শতাধিক পরিবার নদী ভাঙনের শিকার হয়েছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘নদ-নদীর পানির কমা ও বৃদ্ধি পাওয়া চললেও বড় ধরনের বন্যার আশঙ্কা নেই।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।