জুমবাংলা ডেস্ক : দীর্ঘ ১৪ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া মৌলভীবাজার সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলনে জেলা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে চেয়ার ও জনমিলন কেন্দ্রের জানালা ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনের পুরোটা সময় জুড়ে দুই নেতার অনুসারী হিসেবে পরিচিত জেলা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে একাধিকবার ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া আর হলের চেয়ার ভাংচুরের ঘটনায় হলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মৌলভীবাজার পৌর জনমিলন কেন্দ্রে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন চলাকালে বক্তব্য দিচ্ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য অধ্যাপক রফিকুর রহমান। এ সময় হঠাৎ ছাত্রলীগের দুপক্ষের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে দুপক্ষের নেতাকর্মীদের চেয়ার ছোড়াছুড়ি শুরু হয়ে যায়। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মুহূর্তেই সম্মেলনস্থল খালি হয়ে যায়। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
এ ঘটনার জন্য স্থানীয় ছাত্রলীগকে দায়ী করেছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ। তিনি বলেন, পরবর্তীতে সম্মেলন যাতে সুন্দর ও সফলভাবে সম্পন্ন হয় সেজন্য মৌলভীবাজারের সব নেতারা চেষ্টা চালাবেন। কিন্তু আজ স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা যে কাজ করেছেন তা জঘন্য। তারা আমাদের অসম্মান করেছেন। আমরাও ছাত্র রাজনীতি করেছি। অনেক নির্যাতন, জেল-জুলুম সহ্য করে আজ এখানে এসেছি। এখানে যারা ছিলেন তারা সবাই নির্যাতনের শিকার হয়ে এতদূর পর্যন্ত এসেছেন। কাজেই ছাত্রলীগের এমন কাজ করা কোনোভাবেই উচিত হয়নি।
তবে মারামারিতে ছাত্রলীগের কেউ ছিল না জানিয়ে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম বলেন, ছাত্রলীগে কোনো গ্রুপিং নেই। আওয়ামী লীগের সম্মেলনে কারা মারামারি করেছে তা আমরাও বলতে পারছি না।
এর আগে দুপুরে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কামাল আহমদ। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন মৌলভীবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য নেছার আহমদ। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আহমদ হোসেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।