জুমবাংলা ডেস্ক : মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় হোম কোয়ারেন্টাইন না মেনে বিয়ে করায় একজনকে এবং বিয়ের প্রস্তুতি নেওয়ায় আরেকজনকে জরিমান করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এটিএম ফরহাদ চৌধুরী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জরিমান আদায় করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুরুল হক, কুলাউড়া থানার ওসি মো. ইয়ারদৌস হাসান, ওসি (তদন্ত) সঞ্জয় চক্রবর্ত্তী।
জানা গেছে, উপজেলার ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের চকেরগ্রামের বাসিন্দা মৃত মাস্টার হাবিবুর রহমানের ছেলে ওমান প্রবাসী সৈয়দ জিয়াউর রহমান গত ১৫ মার্চ দেশে ফিরেন। তাকে সরকারি নিয়ম মেনে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে নিজের বাড়িতে থাকতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তিনি সেই নিয়ম না মেনে এলাকায় ঘুরাঘুরি করে বিয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। শুক্রবার উপজেলার ভাটেরা ইউনিয়নের শরীফপুর গ্রামের এক ব্যক্তির মেয়ের সঙ্গে তার বিয়ে হওয়ার কথা। সেই লক্ষে বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রবাসী জিয়াউর রহমানের বাড়িতে আকদ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বাড়িতে উভয় পরিবারের অনেক লোকজনের সমাগম ঘটে। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ টি এম ফরহাদ চৌধুরীসহ প্রশাসনের অন্য কর্মকর্তারা তার বাড়িতে গিয়ে উপস্থিত হন। এ সময় প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে অধিকাংশ আত্মীয়-স্বজন বাড়ির পেছনের সীমানা প্রাচীর টপকে সটকে পড়ে। পরে উপজেলা প্রশাসন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন এবং প্রবাসীকে কোয়ারেন্টাইন থাকার কঠোর নির্দেশনা প্রদান করেন।
অপরদিকে উপজেলার কাদিপুর ইউনিয়নের ছকাপন গ্রামের বাসিন্দা হাজী আনসার আলীর ছেলে রিয়াদ উদ্দিন দুবাই থেকে দেশে ফিরেন সম্প্রতি। ওই সময় থেকে ২ সপ্তাহ পর্যন্ত তার বাধ্যতামূলকভাবে কোয়ারেন্টাইনে থাকার কথা ছিল। কিন্তু কোয়ারেন্টাইন না মেনে বিয়ের প্রস্তুতি নেন এবং প্রকাশ্য ঘোরাফেরা করতে থাকেন। বৃহস্পতিবার তিনি বিয়ে করেন একই উপজেলার ভূকশিমইল ইউনিয়নের শশারকান্দি গ্রামের বাসিন্দা জলিল আহমদের কন্যা ইপা বেগমকে। বৃহস্পতিবার উপজেলার ভাটেরা ইউনিয়নের স্থানীয় সাত্তার কমিউিনিটি সেন্টারে বিয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কমিউনিটি সেন্টারে বরযাত্রী নিয়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন ওই প্রবাসী। উপজেলা প্রশাসন বিষয়টি জানতে পেরে সেন্টারে গিয়ে হাজির হয়। পরে বিয়ের আসর পণ্ড করে দিয়ে বর রিয়াদ উদ্দিনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় একং বর কনেকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ টি এম ফরহাদ চৌধুরী জানান, হোম কোয়ারেন্টাইন না মেনে বিয়ের আয়োজন করায় দুই প্রবাসী বরকে জরিমানা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাস থেকে সাধারণ জনগণকে সচেতন করতে আমরা উপজেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ ও পুলিশ প্রশাসন বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষজনকে সচেতন করার জন্য কাজ করে যাচ্ছি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।