জুমবাংলা ডেস্ক : পটুয়াখালীর একটি স্কুলে নলকূপ স্থাপন করতে গিয়ে বের হচ্ছে গ্যাস গভীর নলকূপ (টিউবওয়েল) বসাতে গিয়ে ভূগর্ভস্থ প্রাকৃতিক গ্যাস বের হওয়া শুরু হয়। এ ঘটনাটি রাঙ্গাবালী উপজেলার বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের ৪৭ নম্বর মধ্য চরগঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। নলকূপ স্থাপনের কাজ শেষ হলেও সোমবার পর্যন্ত গ্যাস বের হওয়া বন্ধ হয়নি বলে জানা গেছে। স্কুলে নলকূপ বসাতে গিয়ে বের হচ্ছে গ্যাস।
জানা গেছে, বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) তত্ত্বাবধানে চরগঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় একটি দ্বিতল ভবনের সঙ্গে চারটি গভীর নলকূপ স্থাপন করবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। গত শুক্রবার (২২ জুলাই) সেই নলকূপ স্থাপনের কাজ শুরু হয়। রবিবার (২৪ জুলাই) সকালে নলকূপ স্থাপনের কাজ শেষ করে চলে যায় শ্রমিকরা। স্থানীয়রা জানায়, নতুন নলকূপের পানি কেমন উঠছে তা দেখতে গেলে নলকূপের পাশ দিয়ে বুদবুদ শব্দ হচ্ছিল। এতে স্থানীয় কয়েকজনের সন্দেহ হয়। তারা দেশলাইয়ের কাঠি ঠুকে দিলে সেখানে আগুন জ্বলে ওঠে। বিষয়টি জানাজানি হলে রাতে উৎসুক জনতা সেখানে ভিড় জমায়।
মধ্য চরগঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল্লাহ আল ফাহাত বলেন, ‘শ্রমিকরা নলকূপ বসিয়ে চলে যাওয়ার পর বুদবুদ শব্দ হলে লোকজন সেখানে আগুন ধরালে জ্বলতে থাকে। এখনও নলকূপের চারপাশ দিয়ে গ্যাস বের হচ্ছে। আগুন দিলেই জ্বলছে। রোববার রাত সাড়ে ৯টায় ওখানে অনেকেই কৌতূহলবসত আগুন জ্বলা দেখতে গিয়েছে।’ তবে বিষয়টি পরিদর্শনে এখনও ঘটনাস্থলে যায়নি কেউ।
সোমবার (২৬ জুলাই) দুপুর ২ টায় পর্যন্ত অনবরত গ্যাস বের হবার বিষয়টি নিশ্চিত করে মধ্য চরগঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান বলেন, ‘২৫০ ফুট পাইপ বসানোর পর পাইপের মাথায় গ্যাস নির্গমন হতে দেখে শ্রমিকরা। পরে সাড়ে ৮০০ ফুট পাইপ বসিয়ে নলকূপ স্থাপনের কাজ সম্পন্ন করে। পানিও ঠিকঠাক উঠছে। কিন্তু বালু ও মাটি চাপা দিলেও নলকূপের চারপাশ দিয়ে এখনও গ্যাস বের হচ্ছে। বিষয়টি আমি কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’
উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো. গোলাম সগীর বলেন, ‘বিদ্যালয় নলকূপ বসানোর পর গ্যাস নির্গমনের বিষয়টি জানতে পেরেছি।’ এ ব্যাপারে এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী মিজানুল কবির ও উপসহকারী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি আমরা শুনেছি। সরেজমিনে পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।